কারো কেউ নইকো আমি লিরিক্স | কিশোর কুমার (৪ আগস্ট, ১৯২৯ – ১৩ অক্টোবর, ১৯৮৭) ছিলেন ভারতীয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং রেকর্ড প্রযোজক। সাধারণত তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সর্বাধিক সফল এবং চলচ্চিত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ নেপথ্য গায়ক হিসেবে বিবেচিত হন। কিশোর কুমারের চার অদ্ভুত কাহিনী:-কিশোর কুমার ৪ই আগস্ট ৪টার সময় জন্ম গ্রহণ করেন এবং ৪র্থ সন্তান। তিনি জীবনে ৪ টি বিয়ে করেন, চলচ্চিত্র জীবনে ৪টি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
কারো কেউ নইকো আমি লিরিক্স | Karo Keu Noiko Aami Lyrics | Lal Kothi | Kishore Kumar
SONG- Karo Keu Noiko Aami
SINGER- Kishore Kumar, Nabanita
LYRICS- Mukul Dutta
MOVIE- Lal Kothi
MUSIC Swapan Jagmohan
CAST- Tanuja, Ranjit Mallick, Danny Denzongpa,
RELEASE D/T- 1978
DIRECTOR- Kanak Mukherjee
কারো কেউ নইকো আমি লিরিক্স :
কারো কেউ নইকো আমি কেউ আমার নয় কোনো নাম নেইকো আমার শোনো মহাশয়.... কারো কেউ নইকো আমি কেউ আমার নয় কোনো নাম নেইকো আমার শোনো মহাশয়.... কারো কেউ নইকো আমি কেউ আমার নয় কোনো নাম নেইকো আমার শোনো মহাশয়.... কারো কেউ নইকো আমি... তোমার বাড়িই আমার বাড়ি আমার বাড়ি নেই পথে ঠেলে দিলে আমায় পথেই পরে রই তোমার বাড়িই আমার বাড়ি আমার বাড়ি নেই পথে ঠেলে দিলে আমায় পথেই পরে রই যে যখন দেখে আমায় কিনে নিতে চায় মনের মতো দামটি দিলে তখন পাওয়া যায় কারো কেউ নইকো আমি কেউ আমার নয় কোনো নাম নেইকো আমার শোনো মহাশয় কারো কেউ নইকো আমি... গায়ের জোরে সবই কিছু কেড়ে নেয়া যায় পয়সা-কড়ি গয়না-গাটি ” ভালোবাসা নয় ” গায়ের জোরে সবই কিছু কেড়ে নেয়া যায় পয়সা-কড়ি গয়না-গাটি ” ভালোবাসা নয় ” তোমার কাছে তাইতো আমি বাড়িয়ে দিলাম হাত ভিখারি করলে আমায় ছিলাম ডাকাত কারো কেউ নইকো আমি কেউ আমার নয় কোনো নাম নেইকো আমার শোনো মহাশয় কারো কেউ নইকো আমি আজকে যেন লাগছে আমায় খুঁজে পাওয়া যাবে বুকের মাঝে কাঁদছে রে কেউ কে আমার হবে আজকে যেন লাগছে আমায় খুঁজে পাওয়া যাবে বুকের মাঝে কাঁদছে রে কেউ কে আমার হবে আজকে বুঝি পাওয়া যাবে আমার পরিচয় নুতুন নামে ডাকবে আমায় যে আমার হয় কারো কেউ নইকো আমি কেউ আমার নয় কোনো নাম নেইকো আমার শোনো মহাশয়.... কারো কেউ নইকো আমি কারো কেউ নইকো আমি কারো কেউ নইকো আমি.....

Karo Keu Noiko Aami Lyrics :
Karo keu noiko ami keu amar noy
Kono naam neiko amar shono mohashoy
Karo keu noiko ami keu amar noy
Kono naam neiko amar shono mohashoy
Karo keu noiko ami
Tomar baari amar baari amar bari nei
Pothe thele dile amae pothei pore roi
Tomar baari amar baari amar bari nei
Pothe thele dile amae pothei pore roi
Je jokhon dEkhe amae kine nite chaae
Moner moto daamti dile tokhon pawa jaae
Karo keu noiko ami keu amar noy
Kono naam neiko amar shono mohashoy
Karo keu noiko ami
Gaayer jore shobi kichu kere newa jaae
Poisha kori goyna gaati bhalobasha noy
Gaayer jore shobi kichu kere newa jaae
Poisha kori goyna gaati bhalobasha noy
Tomar kaache taito ami
Bariye dilaam haat
Bhikhari korle amai chilaamo dakaat
Karo keu noiko ami keu amar noy
Kono naam neiko amar shono mohashoy
Karo keu noiko ami
Ajke jeno lagche amae khuje pawa jaabe
Buker majhe kandche re keu ke amar hobe
Ajke jeno lagche amae khuje pawa jaabe
Buker majhe kandche re keu ke amar hobe
Ajke bujhi pawa jaabe amar porichoy
Notun naam e daakbe amae je amar hoy
Karo keu noiko ami keu amar noy
Kono naam neiko amar shono mohashoy
Karo keu noiko ami
Karo keu noiko ami
Karo keu noiko ami
Karo keu noiko ami
প্রাথমিক জীবনঃ
কিশোর কুমার মধ্যপ্রদেশের খান্ডোবাতে বাঙালি গাঙ্গুলী (গঙ্গোপাধ্যায়) পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কুঞ্জলাল গাঙ্গুলী ছিলেন একজন উকিল। কুঞ্জলাল গাঙ্গুলীর পৈতৃক বাড়ি ও জন্মস্থান হলো ঢাকার অদূরে বিক্রমপুরে (বর্তমান নাম মুন্সীগঞ্জ) তার মার নাম ছিল গৌরী দেবী। কুঞ্জলাল জীবিকার তাগিদে মধ্য প্রদেশে চলে যান। কিশোর কুমারের জন্মনাম ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলী। চার ভাই বোনের ভিতর কিশোর ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। সবথেকে বড় ছিলেন অশোক কুমার তারপর সীতা দেবী। তারপর অনুপ কুমার আর অনুপ কুমারের থেকে পাঁচ বছরের ছোট ছিলেন কিশোর কুমার।
কিশোরের শৈশবকালীন সময়েই তার বড়দা অর্থাৎ জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা অশোক কুমার বোম্বেতে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে বড় সাফল্য পান। এই সফলতা ছোট্ট কিশোরের উপরে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। ছোটবেলা থেকেই কিশোর বিখ্যাত গায়ক কুন্দন লাল সায়গলের একজন বড় ভক্ত হয়ে উঠেছিলেন। তিনি সায়গলের গানগুলো অনুকরণ করতেন বা নকল করে গাইতেন। এছাড়াও তার বাড়ির লোক তাকে দাদা অশোক কুমারের বিখ্যাত গান “মেঁ বন কে পঞ্ছী বন বন কে” বার বার গাইতে বলতেন। অশোক কুমারের সাফল্যের পর কিশোরের আরেক দাদা অনুপ কুমারও বোম্বের হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন।

কর্মজীবনঃ
পঞ্চাশের দশকের সাফল্য:
কিশোর কুমারের অভিনয় খুব একটা পছন্দ ছিল না। তিনি গান গাইতেই চাইতেন। কিন্তু তার গানের কোন ধরাবাঁধা শিক্ষা ছিল না। দাদা অশোক কুমারের ফিল্ম জগতে অনেক পরিচিতি থাকার ফলে কিশোর বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান কিন্তু সেগুলিতে দর্শকদের মনে তেমন সাড়া জাগাতে পারেননি। তবে এই চলচ্চিত্রগুলোয় তিনি গান গাইবার সুযোগ পেতেন। এই প্রাথমিক অবস্থায় তিনি কুন্দন লাল সায়গলের নকল করে গাইতেন।
পরে শচীন দেব বর্মনের পরমর্শে তিনি নিজের গাইবার কায়দা পাল্টান এবং এমন এক গাইবার কায়দা উদ্ভাবন করেন যা সেই সময়ের অপর প্রধান দুই গায়ক মহম্মদ রফি এবং মুকেশের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তার গানের বৈশিষ্ট্য ছিল গলাকে ভেঙে গান গাওয়া যা আগে কখনও শোনা যায়নি। তবে এই কায়দা খুবই জনপ্রিয় হয়। পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত কমেডি নায়ক হিসাবে জনপ্রিয় হন।
তার অভিনয়ের কায়দা ছিল অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সেই সময়ের প্রবল জনপ্রিয় এবং ক্ষমতাশালী তিন নায়ক – রাজ কাপুর, দেব আনন্দ এবং দিলীপ কুমার বলিউড শাসন করা সত্ত্বেও কিশোর কুমার নিজের এক পৃথক জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হন। পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে তিনি ছিলেন এক প্রবল ব্যস্ত, সফল নায়ক এবং গায়ক। এছাড়াও তিনি সুরকার, গীতিকার এবং প্রযোজকের ভূমিকাও পালন করতে লাগেন। শচীনদেব বর্মন ছাড়াও আরেক সুরকার যিনি কিশোরের সঙ্গীত প্রতিভা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি হলেন খেমচাঁদ প্রকাশ। খেমচাঁদ প্রকাশের সুর জিদ্দি চলচ্চিত্রের গান গেয়ে কিশোর গায়ক হিসাবে পায়ের নিচে মাটি পান।
এছাড়া অন্যান্য সুরকার যেমন রবি এবং দুই বিশিষ্ট গীতিকার – মজরু সুলতানপুরি ও শৈলেন্দ্র কিশোরের ভক্ত হয়ে ওঠেন। এই সময়ের তার গায়ক হিসাবে অন্যতম চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে আছে পেয়িং গেস্ট (১৯৫৭), চলতি কা নাম গাড়ি (১৯৫৮), তিন দেবিয়াঁ।