আনন্দ লোকে লিরিক্স | রবীন্দ্রসঙ্গীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত ও সুরারোপিত গান। বাংলা সংগীতের জগতে এই গানগুলি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকারী। রবীন্দ্রনাথের জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত। এছাড়া ভারতের জাতীয় স্তোত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম্ গানটিতে রবীন্দ্রনাথই সুরারোপ করেছিলেন।

আনন্দ লোকে লিরিক্স | Anandaloke Mangalaloke Lyrics | Rabindra Sangeet
আনন্দ লোকে লিরিক্স :
Anandaloke Mangalaloke Lyrics In English
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
তিনি কেবল গীতিকার বা সুরকার নন, তিনি সঙ্গীতস্রষ্টা। রবীন্দ্রসঙ্গীত কাব্য ও সুরের মধুর মিলনের অনন্য দৃষ্টান্ত। স্বরচিত অধিকাংশ গানে সুরারোপ করেছেন রবীন্দ্রনাথ নিজেই। “স্থায়ী”, “অন্তরা”, “সঞ্চারী” এবং “আভোগ” – এই চারটি রূপবন্ধের ক্রমিক সমন্বয়ে যে একটি গান সম্পূর্ণ হয়ে উঠে তা তিনি সম্যক উপলব্ধি করেছিলেন। তার এই উপলব্ধি সর্বভারতীয় সঙ্গীত ঐতিহ্যেরই প্রতিফলন।
তবে তিনি গানে “তান-বিস্তারের” অপরিহার্যতা অস্বীকার করে সঙ্গীত রচনা করেছেন। তার গানে বিস্তার ব্যতিরেকেই সুর শব্দকে ছাড়িয়ে বিশেষ ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করে। সুরের বৈশিষ্ট্যেই তার গান রবীন্দ্রসঙ্গীত হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে প্রচলিত তালে সুর বাঁধার সঙ্গে সঙ্গে অপ্রচলিত নানা তাল তিনি ব্যবহার করেছেন। তার কাছে আমরা পেয়েছি ১৫ মাত্রা, ১৭ মাত্রা, ১৮ মাত্রা, ১৯ মাত্রা ইত্যাদির বাংলা গান। “সঙ্গীতের মুক্তি” নামীয় প্রবন্ধটি তার সঙ্গীত চিন্তার দলিল।

চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রসংগীতের প্রয়োগ :
বাংলা চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রয়োগ শুরু হয় ১৯৩৭ সালে। ওই বছর নিউ থিয়েটার্স প্রাইভেট লিমিটেড প্রযোজিত ও প্রমথেশ বড়ুয়া পরিচালিত মুক্তি চলচ্চিত্রে প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত ব্যবহার করা হয়। এরপর সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, গৌতম ঘোষ,অপর্ণা সেন, ঋতুপর্ণ ঘোষ প্রমুখ আন্তর্জাতিক-খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালকগণ তাদের ছবিতে সার্থকভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রয়োগ করেছেন। মূলধারার বহু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রেও জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলি ব্যবহার করা হয়।
মুক্তি:
নিউ থিয়েটার্স প্রাইভেট লিমিটেড প্রযোজিত ও প্রমথেশ বড়ুয়া পরিচালিত মুক্তি (১৯৩৭) চলচ্চিত্রে প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রয়োগ করা হয়েছিল। এই ছবির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পঙ্কজ কুমার মল্লিক। পঙ্কজকুমার মল্লিক রবীন্দ্রনাথের অনুমতি নিয়ে কবির খেয়া কাব্যগ্রন্থের “শেষ খেয়া” কবিতাটিতে সুরারোপ করেন এবং এই চলচ্চিত্রে প্রয়োগ করেন। গানটি “দিনের শেষে ঘুমের দেশে” শিরোনামে রেকর্ডে প্রকাশিত হয় ও জনপ্রিয়তা অর্জন করে। মুক্তি চলচ্চিত্রে পঙ্কজকুমার মল্লিক রবীন্দ্রনাথের “আজ সবার রঙে রঙ মেশাতে হবে”, “তার বিদায়বেলার মালাখানি” ও “আমি কান পেতে রই” গান তিনটিও ব্যবহার করেছিলেন।