“আমার ডুবু ডুবু তরী” বাংলা লোকসংগীতের অন্যতম জনপ্রিয় বাউলধর্মী গান। গানটির গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী আব্দুল লতিফ, যিনি বাংলা ভাষা, দেশপ্রেম ও মানবতার প্রতি গভীর মমত্ববোধ নিয়ে অসংখ্য গান উপহার দিয়েছেন।
গীতিকার ও শিল্পী: আব্দুল লতিফ
আব্দুল লতিফ ছিলেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা—
- গীতিকার
- সুরকার
- কণ্ঠশিল্পী
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি প্রথম সুর করেন আবদুল গাফফার চৌধুরীর ঐতিহাসিক কবিতা “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”–তে। পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলন, দেশমাতৃকা, মানবতা ও সমাজবাস্তবতা নিয়ে তিনি আরও বহু গান রচনা করেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনী ও কর্মজীবন
মাত্র ১৬ বছর বয়সেই গান গাইতে শুরু করেন।
১৯৪৮ সালে ঢাকায় আসেন, এবং খুব শিগগিরই রেডিও পাকিস্তানে নিয়মিত শিল্পী হিসেবে যোগ দেন।
তিনি বিভিন্ন মঞ্চ, সভা আর আন্দোলনে গান গেয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও অনুপ্রেরণা জাগিয়েছেন।
কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদপ্তরে কর্মরত ছিলেন।
বাংলা লোকসংগীত ও দেশাত্মবোধক গানে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়।
২০০৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আমার ডুবু ডুবু তরী — গানের ব্যাখ্যা
এই গানটি মূলত এক আত্মিক আর্তি—
মানুষের দুঃখ, ভয়, একাকিত্ব আর ভরসাহীনতার মুহূর্তে “দয়াল” (প্রভু/গুরু/নেতা/ঈশ্বর)-এর প্রতি নিবেদন।
একটি ডুবন্ত তরীর মতো মানুষের মন, যা উদ্ধার পেতে চায় আশ্রয়ের কাছে।
গানে প্রকাশ পেয়েছে—
- অসহায়ত্ব
- বিপদের ঝড়
- ভরসার খোঁজ
- পাপমুক্তির আবেদন
- গুরুর কৃপায় নবজীবনের আকাঙ্ক্ষা
আমার ডুবু ডুবু তরী — লিরিক্স
আজ আমার বান্ধব কেহ নাই দয়াল তুমি বিহনে…
ডুবু ডুবু তরী কেমনে ধরি পাড়ি,
হাইলে বৈঠা খাইল রে ঘুনে,
দয়াল তুমি বিহনে……
দেখে নদীর ঝড় সবাই হইল পর
ফেলিয়া আমায় তুফানে,
কোথায় আছো দয়াল
ডাকে তোমার কাঙ্গাল
তরাইয়া লও ঘোর এ নিদানে….
ডাকিতে ডাকিতে হয় যদি মরণ
দুঃখ রবে না ভুবনে
আমার পাপে ভরা দেহ ফেলিও না কেহ
রেখে দিও গুরুর চরণে
দয়াল তুমি বিহনে……
ঐ চরণের ছোয়ায় অমৃত সুধায়
ঘুচিবে কলঙ্ক জীবনে
কয় লতিফ সরকার দয়াল চাঁন হলে আমার
ধন্য জীবন হবে ভুবনে
দয়াল তুমি বিহনে…
![আমার ডুবু ডুবু তরী [ Amar Dubu Dubu Tori ] আমার ডুবু ডুবু তরী লিরিক্স | Amar Dubu Dubu Tori | আব্দুল লতিফ](https://i.ytimg.com/vi/G6Wi2r-YjZk/hqdefault.jpg)