আমি দেখিনি তোমায় লিরিক্স | বাংলা গজল | Ami Dekhini Tomay Lyrics | Bangla Gojol

আমি দেখিনি তোমায় লিরিক্স | গজল হালকা মেজাজের লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। আবার হালকা-গম্ভীর রসের মিশ্রণে সিক্ত আধ্যাত্মিক গান। গজল প্রেমিক-প্রেমিকার গান হলেও এ গান এমন একটি শৈলী যাতে প্রেম ও ভক্তির অপূর্ব মিলন ঘটেছে। পার্থিব প্রেমের পাশাপাশি গজল গানে আছে অপার্থিব প্রেম, যে প্রেমে স্রষ্টার প্রতি আত্মার আকূতি নিবেদিত। গজল গানে স্রষ্টা আর তার প্রেরিত মহাপুরুষদের প্রতি ভক্তির সঙ্গে মোক্ষ লাভের ইচ্ছা এসে মেলবন্ধন ঘটিয়েছে পার্থিব প্রেমের সঙ্গে।

 

আমি দেখিনি তোমায় লিরিক্স | বাংলা গজল

Ami Dekhini Tomay Lyrics | Bangla Gojol

 

গীতিকার: জাফর আহমদ রাবী

সুর: সাঈদ আহমদ

 

আমি দেখিনি তোমায় লিরিক্স | বাংলা গজল | Ami Dekhini Tomay Lyrics | Bangla Gojol

 

 

আমি দেখিনি তোমায় লিরিক্সঃ

 

আমি দেখিনি তোমায় চোখের তারায়

তবুও তোমায় ভালবেসেছি।

মনের এই ক্যানভাসে, তোমার ছবি ভাসে

তোমার প্রেমে যেন পড়েছি।।

উহুদের ময়দানে রক্ত ঝরালে, দ্বীন কায়েমের জন্য

পাথর বুকেও ফোটালে ফুল, মনুষ্য যাতে ছিলো শূন্য।

শত জ্বালাতন, সয়েছো তুমি

সেই কাহিনি শুনে কেঁদেছি।।

দ্বারে দ্বারে ঘুরে খোদার বাণী, পৌছে দিয়েছো দিন রাত

চিনলো না তোমায় তায়েফবাসী, করলো যে শুধু আঘাত।

তোমার পায়ের পথের ধুলি

এই চোখে সুরমা দিয়েছি।।

গঠনঃ

গজল গানের কলিগুলোর অর্থ প্রায়ই দ্ব্যর্থবোধক। প্রেম যখন পুরুষ বা নারীর প্রতি নিবেদিত হয় তখন সে গজল মানব-প্রেম বা পার্থিব-প্রেম, আবার প্রেম যখন স্রষ্টার উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় তখন তা আধ্যাত্মিক প্রেম। তাই গজল গান এক ধরনের ‘ভাব-সঙ্গীত’ বলেও পরিচিত।

গজলের আরেকটি রূপও আছে। সে রূপটি অন্য কোন গানে নেই। আবৃত্তি আকারে গজল পরিবেশন। এসব ধর্মই গজল গান শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভুবনে আলাদা জাত হিসেবে গণ্য।

বাংলাদেশে অনেক শিল্পিগোষ্টি বর্তমান শ্রুতি মধুর গজল পরিবেশনা করে থাকে । আমি দেখিনি তোমায় চোখের তারায়বর্তমান গজল গুলোর মাঝে অন্যতম ।

গজল শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এক ব্যতিক্রমধর্মী গান। এ গানের ‘ভাষার কাব্য ভাব, রাগের স্বর বিন্যাস ও তালের ছন্দ মাধুর্য এক অনির্বাচনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে।’

 

আমি দেখিনি তোমায় লিরিক্স | বাংলা গজল | Ami Dekhini Tomay Lyrics | Bangla Gojol

 

বাণীঃ

গজল গানের বাণীতে সুর-মিশ্রণে যেসব বক্তব্য ধরা পড়ে তা অনেকটা এরূপ :

  1. একজন অপরজনের কাছে নিজেকে হেয় করে অন্যকে বড় করে তুলে ধরে।
  2. বাঞ্ছিত মানুষটিকে আয়ত্তে না পেয়ে নিজের জীবনকে ধিকৃত করে।
  3. প্রিয়জনের অদর্শনে ব্যাকুল হয়ে পড়ে।
  4. প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রাণ বিসর্জনের সংকল্প করে।
  5. আনন্দে বা দুঃখে সুরা সিন্ধুতে নিমজ্জিত হয়।
  6. প্রেমে অন্ধ হয়ে উন্মত্ত অবস্থায় পতিত হয়।
  7. প্রেমাম্পদের স্তুতিতে বিভোর হয়ে পড়ে।

এগুলো হল পার্থিব প্রেমের উপকরণ। অপরদিকে ভগবৎ প্রেমের প্রকাশও রয়েছে গানের বাণীতে। ঈশ্বরের কাছে মান-অভিমান, ঈর্ষা-ঈপ্সা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি ও উদ্বেল-উচাটন মূর্ত হয়ে ওঠে গানে।

গজল গানের প্রকৃতি কোমল, ভাবপ্রবণ ও সংবেদনশীল বলে তার পরিধির ক্ষেত্র কিছুটা সীমিত। এ ক্ষেত্রে তিনটি পর্যায় দেখা যায়। যেমন: কাব্যের ক্ষেত্রে, রাগের ক্ষেত্রে এবং তালের ক্ষেত্রে।

Google News
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment