আমি বনফুল গো লিরিক্স | Ami Banaphool Go Lyreics | Kanan Devi | 1942

আমি বনফুল গো লিরিক্স | কানন দেবী (এপ্রিল ২২, ১৯১৬ – জুলাই ১৭, ১৯৯২), যিনি কানন বালা নামেও পরিচিত; ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী এবং গায়িকা। যিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে নায়িকাদের মধ্যে প্রথম গায়িকা এবং বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম তারকা হিসেবে স্বীকৃত।

আমি বনফুল গো লিরিক্স | Ami Banaphool Go Lyreics | Kanan Devi | 1942

Original Song Credits : 
Singer : Kanan Devi 
Movie : Shesh Uttar (1942)
Director : Pramathesh Barua
আমি বনফুল গো লিরিক্স | Ami Banaphool Go Lyreics | Kanan Devi | 1942
Kanan Devi

আমি বনফুল গো লিরিক্স :

আমি বনফুল গো
আমি বনফুল গো
ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে
আমি বনফুল গো।
বাসন্তিকার কণ্ঠে আমি
বাসন্তিকার কণ্ঠে আমি,
মালিকার ও দুল গো,
মালিকার ও দুল গো,
আমি বনফুল গো
ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে
আমি বনফুল গো।।
বনের পরী আমার সনে
খেলতে আসে কুঞ্জবনে,
বনের পরী আমার সনে
খেলতে আসে কুঞ্জবনে,
ফুল ফোটানো গান গেয়ে যায়
ফুল ফোটানো গান গেয়ে যায়,
পাপিয়া বুলবুল গো
পাপিয়া বুলবুল গো,
আমি বনফুল গো
ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে
আমি বনফুল গো।।
পথিক ভ্রমর শুধায় মোরে
সোনার মেয়ে নাম কি তোর?
বলি, ফুলের দেশের কন্যা আমি
বলি, ফুলের দেশের কন্যা আমি
চম্পাবতী নামটি মোর
চম্পাবতী নামটি মোর।
লতার কোলে চাঁদনি রাতে
বাসর জাগি চাঁদের সাথে,
লতার কোলে চাঁদনি রাতে
বাসর জাগি চাঁদের সাথে,
ভোরের বেলা নয়ন কোনে
দোলে শিশির দুল গো,
আমি বনফুল গো
ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে
আমি বনফুল গো
আমি বনফুল গো
আমি বনফুল গো।।
আমি বনফুল গো লিরিক্স | Ami Banaphool Go Lyreics | Kanan Devi | 1942
Kanan Devi

Ami Banaphool Go Lyreics in Roman :

Ami Bonoful Go
Chonde chonde duli anonde
Ami banaful go
Basontikar konthe ami
Malikar o dul go
Chondey chondey duli anonde
Ami banaphul go
Boner pori amar sone
Khelte ashe kunjobone
Ful fotano gaan geeye jaay
Papiya bulbul go
Pothik bhromor sudhay morey
Sonar meye naam ki tor?
Boli fuler desher konna ami
Compaboti naamti mor
Lotar koley chandni raate
Basor jaagi chander sathe
Bhorer bela noyon kone
Doley shishir dool go

প্রাথমিক জীবন

কানন দেবীর ১৯১৬ সালে হাওড়া, বেঙ্গল, ব্রিটিশ ভারতে জন্ম নেন। তিনি ছিলেন একজন রক্ষিতার সন্তান। তার বাবা রতন চন্দ্র দাস ছিলেন সওদাগর অফিসের কেরানি। তার বাবার একটি ছোট দোকানও ছিলো। নয় বছর বয়সে কাননের বাবা মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর কাননের মা তার দুই কন্যাকে নিয়ে এক দূর সম্পর্কের আত্নীয়ের বাড়িতে রাঁধুনী ও ঝিয়ের শুরু করেন। তাই তারা অসম্ভব দারিদ্র্যের মাঝে একটি ছোট বাসা ভাড়া নেন। দরিদ্রতার কারণে কানন মাত্র বার-তের বছর বয়সেই ম্যাডানের স্টুডিওতে হাজির হন অভিনয় করতে। এবং সেই সময়েই নির্বাক চলচ্চিত্র জয়দেবে (১৯২৬) অভিনয় করেন।

অভিনয় কর্মজীবন

১৯২৬ সালে জয়তিশ বন্দোপাধ্যায়ের জয়দেবে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে কানন দেবীর অভিনয়ের শুরু হলেও তার সত্যিকারের অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৩০ সালে। মূলত দরিদ্রতার কারণে কিশোর বয়স থেকেই তাকে পর্দায় নগ্নতার দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে। ১৯৩১ সালে জয়তিশ বন্দোপাধ্যায়ের জোর বরাত পূর্ণাঙ্গ সবাক চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে নায়ক তাকে জড়িয়ে ধরে ঠোটে চুমু খাওয়ায় তিনি অপমানিত ও ব্যথিত বোধ করেন।

যদিও পরিচালকের নির্দেশেই নায়ক তাকে না জানিয়েই এই কাজ করেছিলেন। অভিভাবকহীন নিম্নবিত্তের মেয়ে হওয়ায় নানাভাবে তাকে অর্থের লোভ দেখিয়ে নগ্ন দৃশ্যে অভিনেয়ের জন্যে বাধ্য করা হতো। ১৯৩৫ সালে সতীশ দাশগুপ্তের বাসব দত্তা চলচ্চিত্রে তার অনিচ্ছায় নগ্নতার প্রদর্শন ছিলো। এছাড়াও তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে পরিচালকেরা অর্থিকভাবেও তাকে ঠকাতেন। ১৯৩৫ সালে মুক্তি পায় তার জয়তিশ বন্দোপাধ্যায়ের মানময়ী গার্লস স্কুল এবং এর মাধ্যমেই তিনি নিজেকে চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরপর ১৯৩৭ সালে মুক্তি চলচ্চিত্র তাকে সর্বপ্রথম অভিনেত্রী হিসেবে সফলতা এনে দেয়।

শ্রীমতি পিকচারস

১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত কানন দেবীর জন্য সবচেয়ে বেশি খ্যাতির সময় ছিল। তিনি এ সময় সম্ভ্রান্ত কানন দেবীতে পরিণত হন কানন বালা থেকে। তিনি তখন রোমান্টিক নায়িকার বদলে স্ত্রী ও মায়ের ভূমিকাতেই বেশি অভিনয় করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি শ্রীমতি পিকচার্স গড়ে তোলেন যার বেশির ভাগ ছবিই ছিল শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে। এই কোম্পানীর ছবিতে তিনি কেবল অভিনয় ও প্রযোজনাই করেন নি, তিনি পরিচালনাও করেন। তার ছবির পরিচালকের একটি তিন সদস্য বিশিষ্ট দল ছিল যার নাম সব্যসাচী। তিনি তিন জনের একজন ছিলেন।

গায়িকা

কানন দেবী একজন ভাল গায়িকাও ছিলেন। তিনি ওস্তাদ আল্লারাখার কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের শিক্ষা নেন। এছাড়াও তিনি ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, রাইচাঁদ বড়াল, কাজী নজরুল ইসলাম, অনাদি দস্তিদার ও পঙ্কজ কুমার মল্লিকদের কাছেও তালিম নেন। তিনি আধুনিক গান ছাড়াও রবীন্দ্র সঙ্গীতও গেয়েছিলেন, যা রবীন্দ্রনাথকেও খুশি করে তুলেছিল। এ গানকে তিনি ভদ্রঘর থেকে বাংলার সাধারণ ঘরেও জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন।

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment