আলী আকরাম শুভ একজন বাংলাদেশী সঙ্গীত পরিচালক, যিনি অহংকার, ও সাথী রে, চন্দ্রগ্রহণ, খোদার পরে মা এর মত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ২০০৮ এবং ২০১২ সালে দুইবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।
কর্মজীবন
আলী আকরাম শুভ ২০০৪ সালে ভাইয়ের শত্রু ভাই চলচ্চিত্রে কাজের মাধ্যমে তার সঙ্গীত কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু তার সাফল্যের চলচ্চিত্র ছিল চন্দ্রগ্রোহন, যার সুবাদে তিনি নিজেকে বাংলা চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তীতে, এরপর থেকে তিনি প্রায় ৩০টির উপর চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করেছেন। ২০১২ সালে তিনি খোদার পরে মা চলচ্চিত্রের জন্য বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি অহংকার চলচ্চিত্রে কাজ করেন, যেখানে শাকিব খুব আলোচিত ছিলেন।
আলী আকরাম শুভ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে অনেক আগেই ঢাকাইয়া চলচ্চিত্রের দর্শক ও শ্রোতাদের মন জয় করেছেন। ‘কি জাদু করেছ বলো না’, ‘এক বিন্দু ভালোবাসা দাও’, ‘নাম্বার ওয়ান শাকিব খান’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি।
তার সুরে ‘জোর করে ভালোবাসা হয়না’ থেকে ‘নিঃষ্পাপ মুন্না’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘ফুল অ্যান্ড ফাইনাল’সহ প্রত্যেকটি ছবির গানই হয়েছে শ্রোতাপ্রিয়। গত বছর মুক্তি পাওয়া মোট ৫৩টি ছবির মধ্যে তার সঙ্গীত পরিচালনাতেই মুক্তি পেয়েছে ২১টি ছবি।
চলচ্চিত্রের তালিকা
আলী আকরাম শুভ ভাইয়ের শত্রু ভাই (২০০৪), আমার প্রাণের প্রিয়া (২০০৯),জীবনের চেয়ে দামী (২০০৯),বলো না তুমি আমার (২০১০),ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না (২০১০),ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না (২০১০),নাম্বার ওয়ান শাকিব খান (২০১০),নিশ্বাস আমার তুমি (২০১০),আদরের জামাই (২০১১),বস নাম্বার ওয়ান (২০১১),ভালোবাসার রঙ (২০১২),খোদার পরে মা (২০১২),ডন নাম্বার ওয়ান (২০১২),ফুল এন্ড ফাইনাল (২০১৩),ডেয়ারিং লাভার (২০১৪),হিটম্যান (২০১৪),অন্তরজ্বালা (২০১৭),অহংকার (২০১৭),ক্রাইম রোড (২০১৭),কত স্বপ্ন কত আশা (২০১৭) চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন ।

পুরষ্কার
সেরা সংগীত পরিচালকের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পরবর্তীকালে 2012 এবং উপার্জন সেরা সংগীত পরিচালকের জন্য বাচসাস পুরষ্কার দুইবার: ২০০৮ এবং ২০১২ সালে।
আরও পড়ুনঃ