আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালু গজল লিরিক্স | গজল হালকা মেজাজের লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। আবার হালকা-গম্ভীর রসের মিশ্রণে সিক্ত আধ্যাত্মিক গান। গজল প্রেমিক-প্রেমিকার গান হলেও এ গান এমন একটি শৈলী যাতে প্রেম ও ভক্তির অপূর্ব মিলন ঘটেছে। পার্থিব প্রেমের পাশাপাশি গজল গানে আছে অপার্থিব প্রেম, যে প্রেমে স্রষ্টার প্রতি আত্মার আকূতি নিবেদিত। গজল গানে স্রষ্টা আর তার প্রেরিত মহাপুরুষদের প্রতি ভক্তির সঙ্গে মোক্ষ লাভের ইচ্ছা এসে মেলবন্ধন ঘটিয়েছে পার্থিব প্রেমের সঙ্গে।
আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালু গজল লিরিক্স | Allahu Allahu Tumi Jalle Jalalu gojol Lyrics | Bangla Gojol
আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালু গজল লিরিক্স :
আল্লাহু আল্লাহু
তুমি জাল্লে জালালু
শেষ করাতো যায় না গেয়ে
তোমার গুনগান। (২)
তুমি কাদের গাফ্ফার
তুমি জলিল জাব্বার
অনন্ত অসীম তুমি
রহিম রহমান।
তুমি মাটির আদমকে
প্রথম সৃষ্টি করিয়া
ঘোষণা করিয়া দিলে
শ্রেষ্ঠ বলিয়া।
তাই নূরের ফেরেস্তা
করে আদমকে সেজদা। (২)
তুমি সবার চেয়ে দিলে
মাটির মানুষকে সন্মান।।

শিশু মুসা নবীরে
যখন দুশমনেরি ঢড়ে
সিন্দুকে ভরিয়া দিলে
ভাসাইয়া সাগরে।
প্রাণে ছিল তাহার ভয়
সেথা পেল সে আশ্রয়।
সেই দুষমনেরি ঘরে
তাহার বাচাইলে প্রাণ।
যখন ইউনুছ নবীরে খাইল মাছেতে গিলিয়া
ফেরেশতা পাঠাইলে তুমি এছমে আজম দিয়া ।।
দমে দমেতে হরদম সে পড়েছে এ ইসমে আজম ।।
সেই মাছের উদর হতে সে যে পেলো পরিত্রান
আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালুহু
শেষ করা তো যায়না গেয়ে তমার গুনগান
তুমি কাদের গফফার
তুমি জলিল জব্বার
অনন্ত অসীম তুমি রহিম রহমান।।
আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালুহু
শেষ করা তো যায়না গেয়ে তমার গুনগান ।।
আল্লাহু আল্লাহু ।
গঠন:
গজল গানের কলিগুলোর অর্থ প্রায়ই দ্ব্যর্থবোধক। প্রেম যখন পুরুষ বা নারীর প্রতি নিবেদিত হয় তখন সে গজল মানব-প্রেম বা পার্থিব-প্রেম, আবার প্রেম যখন স্রষ্টার উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় তখন তা আধ্যাত্মিক প্রেম। তাই গজল গান এক ধরনের ‘ভাব-সঙ্গীত’ বলেও পরিচিত।
গজলের আরেকটি রূপও আছে। সে রূপটি অন্য কোন গানে নেই। আবৃত্তি আকারে গজল পরিবেশন। এসব ধর্মই গজল গান শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভুবনে আলাদা জাত হিসেবে গণ্য।

বাংলাদেশে অনেক শিল্পিগোষ্টি বর্তমান শ্রুতি মধুর গজল পরিবেশনা করে থাকে । আমি দেখিনি তোমায় চোখের তারায় বর্তমান গজল গুলোর মাঝে অন্যতম ।গজল শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এক ব্যতিক্রমধর্মী গান। এ গানের ‘ভাষার কাব্য ভাব, রাগের স্বর বিন্যাস ও তালের ছন্দ মাধুর্য এক অনির্বাচনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে