আল্লাহ আল্লাহ বলো মুখে মুখে লিরিক্স | প্রাথমিক দিকে ইমাম গাযালী, মওলানা জালালুদ্দিন রুমী, হাফীজ সীরাজী, ফারুখউদ্দীন আত্তার, হাকীম শানাঈ প্রমুখ গজল লিখে বেশ নাম করেন। পরবর্তিতে আমির খসরু, মীর তাকী মীর, ইব্রাহীম জক, মীর্জা গালিব, দাগ দেলবী এবং আধুনিক কালে আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল, ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, ফিরাক গোরখপুরী গজল লেখক হিসাবে নাম করেন।
আল্লাহ আল্লাহ বলো মুখে মুখে লিরিক্স | Allah Allah Bolo Mukhe Mukhe Lyrics | Saif Siraj
Singer: Sayed Ahmad, Muhammad Badruzzaman, Abu Rayhan, Iqbal
Mahmud, Mahfuzul Alam, Jahid Hasan & Others
আল্লাহ আল্লাহ বলো মুখে মুখে লিরিক্স :
আল্লাহ আল্লাহ বলো মুখে মুখে (৪)
তাওহীদি বাণী রাখো বুকে বুকে (২)
তোমায় গড়ো তুমি ঈমানী চেতনায়
আবার ফিরে এস ইনসাফী সাধনায়
অন্তরে ঈমান রাখো সুখে দুঃখে
আল্লাহ আল্লাহ বলো মুখে মুখে (২)
পৃথিবীর পথে ছুটে চলো তুমি , সজীব করে দাও শুকনো ভূমি (২)
জান্নাত রাখো তুমি জীবনের সীমানায়
সীরাত-এর পথে চলে যাও তুমি ঠিকানায়
বাঁধসব পারো তুমি দিতে রুখে
আল্লাহ আল্লাহ বলো মুখে মুখে (২)
তাওহীদি বাণী রাখো বুকে বুকে
আল্লাহ আল্লাহ বলো মুখে মুখে (২)
আল্লাহু আল্লাহ বলে যাও দ্বিধাহীন ,
আল্লাহ-র হুকুমে থাকো সারা দিন (২)
আসমানী হুকুমাত করতে কায়েম ধরা,
আবার তোমার হাত মগ্ন হোক সাধনায়
আসবে বিজয় রাখো সাহস বুকে
আল্লাহ আল্লাহ বলো মুখে মুখে (২)
তাওহীদি বাণী রাখো বুকে বুকে (২)
আল্লাহ আল্লাহ বলো মুখে মুখে (৪)
গজল:
গজল ভালো গাইতে হলে ভালো ভাষা-জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। টপ্পা ও ঠুমরির মতো গজল প্রধানত কাফি, পিলু, ঝিঝিট, খাম্বাজ, বারোয়া, ভৈরবী রাগে গাওয়া হয়। গজল গানে একটি বিশেষ আবেদন আছে, তাই এ গান শ্রোতার মনকে রসে আপ্লুত করে তোলে। গজল খুবই জনপ্রিয় গান। সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর, মীর্জা গালিব, দাগ, জওক, আরজু প্রমুখ অনেক কবি অজস্র সুন্দর সুন্দর গজল রচনা করে গেছেন।
সম্রাট জাহাঙ্গীর, সম্রাজ্ঞী নূরজাহান, নবাব ওয়াজেদ আলী শাহর মতো ইতিহাস-প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের রচিত অনেক গজল গানের সন্ধান পাওয়া যায়। বাংলা ভাষায় বেশকিছু গজল রচিত হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা গজল রচনায় পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন।
‘গজল’ শব্দটি আরবি থেকেই চয়িত। এ শব্দের আক্ষরিক অর্থ, প্রেমিকার সঙ্গে কথোপকথন। গজলের পরিভাষায় উল্লেখ হয়েছে, ‘তারুণ্যের পরিস্থিতি বর্ণনা করুন অথবা প্রেমাস্পদের সঙ্গে সংসর্গের উল্লেখ করুন এবং ভালোবাসার চর্চা করুন কিংবা রমণীর সঙ্গে বাক্যালাপ করুন। তাই পরিভাষায় বর্ণিত বিষয়কে অবলম্বন করে গজল রচিত গানকে ‘প্রণয়-সঙ্গীত’ বলেও চিহ্নিত করা হয়।
গজল আবার ‘কাব্য-সঙ্গীত’ নামেও পরিচিত। কারণ গজল গানে শৃঙ্গার রস যেমন মিলন আর বিরহের কথা বলে তেমনি তাতে ভক্তির কথাও উচ্চারিত হয়। দু’ধরনের ভাবের অভিব্যক্তি শৃঙ্গার রসে পরিপূর্ণতা আনে। অন্যদিকে গজল গান রচনায় যে বাণী প্রয়োগ করা হয় তাতে সব ধরনের রসের সমাবেশ দেখা যায়। ফলে গজল গান কাব্যের গুণে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তাই গজল শৃঙ্গার রসাÍক গান হলেও এক ধরনের ‘কাব্য-সঙ্গীত’।

আরও দেখুন :