আশার প্রদীপ গুলো কখন জানি লিরিক্স | Ashar Prodip Gulo Kokhon Jani Lyrics | Islamic Gazal

আশার প্রদীপ গুলো কখন জানি লিরিক্স | গজল গান দুটো পঙ্‌ক্তি নিয়ে রচিত। প্রতিটি খণ্ডকে ‘শের’ বলা হয়। অনেকগুলো ‘শের’ নিয়ে গজলের অবয়ব। শের কখনও একই বক্তব্য নিয়ে রচিত। আবার এতে কখনও বিভিন্ন বিষয়বস্তুর উপস্থাপনা দেখা যায়। মূল কথা, গজলের কাব্য ভাবই মুখ্য। ভাষার লালিত্য, শব্দের ঝঙ্কায়, ছন্দের মাধুর্য গজলের বৈশিষ্ট্য। গজলের প্রথম শেরকে স্থায়ী এবং অন্যসব শেরকে ‘অন্তরা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। গজল গানে মূলত কাব্যিক ভাব প্রকাশিত।

আশার প্রদীপ গুলো কখন জানি লিরিক্স | Ashar Prodip Gulo Kokhon Jani Lyrics | Islamic Gazal

আশার প্রদীপ গুলো কখন জানি লিরিক্স | Ashar Prodip Gulo Kokhon Jani Lyrics | Islamic Gazal

আশার প্রদীপ গুলো কখন জানি লিরিক্স :

আশার প্রদীপ গুলো কখন জানি
নিরাশায় রূপনেয় হায়
বেথা তোর মন বুঝে না বুঝে না
কাঁদে শুধু রোজ নিরালায়
আশার প্রদীপ গুলো কখন জানি
নিরাশায় রূপনেয় হায়
ব্যাথা তোর মন বুঝে না বুঝে না
কাঁদে শুধু রোজ নিরালায়
আল্লাহ হু আল্লাহ
তুমি ছাড়া আমি বড়
অসহায়
বড় অসহায়
ইয়া মুকল্লিবালকোলাব
সাব্বিতকলবিআলাদিনিকা
সুখ পাখি কত কাল দেয় না ধরা
হারিয়ে নিরের খোঁজ
সুখ পাখি কত কাল দেয় না ধরা
হারিয়ে নিরের খোঁজ
ভুল ভরা জীবনের অমানিশা
আঘাত হেনে যায় রোজ
কেন মন… হয় এমন
বোলো না কিসের শূন্যতা
আল্লাহু আল্লাহু
তুমি ছাড়া আমি বড়
অসহায়
বড় অসহায়
ইয়া মুকল্লিবালকোলাব
সাব্বিতকলবিআলাদিনিকা
স্বপ্নে বিভোরে জীবন আমার
কত পথ পাড়ি দেয়
স্বপ্নে বিভোরে জীবন আমার
কত পথ পাড়ি দেয়
বিফল হয়ে ফের কেদে উঠে
ভেঙ্গে যায় একটুকু তেজ
জানি না
কিসের সেই অজ্ঞতায়
আল্লাহ হু আল্লাহ
তুমি ছাড়া আমি বড়
অসহায়
বড় অসহায়
আল্লাহ হু আল্লাহ
তুমি ছাড়া আমি বড়
অসহায়
বড় অসহায়
Google News
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

Ashar Prodip Gulo Kokhon Jani Lyrics :

Ashar Prodip gulo kokhon jani
Nirashaye rupnei hay
Betha tor mon bujhe na bujhe na
Kade shodhu roj niralaye
Ashar Prodip gulo kokhon jani
Nirashaye rupnei hay
Betha tor mon bujhe na bujhe na
Kade shodhu roj niralaye
Allah hu allah
Tumi chara ami boro
osohay
Boro osohay
Ya mokollibalkolub
Sabbitkolbialadinika
Shukh pakhi koto kal deye na dhora
Hariye nirer khoj
Shukh pakhi koto kal deye na dhora
Hariye nirer khoj
Bhul bhora Jiboner omanisha
Aghat hene jaye roj
Keno mon… hoy amon
Bolo na kisher shunnota
Allahu allahu
Tumi chara ami boro
osohay
Boro osohay
Ya mokollibalkolub
Sabbitkolbialadinika
Shopne bhivore jibon amar
Koto poth pari dey
Shopne bhivore jibon amar
Koto poth pari dey
Bifol hoye fer kede uthe
Bhengge jaye aktuku tej
Jani na
Kisher shey oggotaye
Allahu allahu
Tumi chara ami boro
osohay
Boro osohay
Allahu allahu
Tumi chara ami boro
osohay
Boro osohay

বৈশিষ্ট্যঃ

গজল হালকা মেজাজের লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। আবার হালকা-গম্ভীর রসের মিশ্রণে সিক্ত আধ্যাত্মিক গান। গজল প্রেমিক-প্রেমিকার গান হলেও এ গান এমন একটি শৈলী যাতে প্রেম ও ভক্তির অপূর্ব মিলন ঘটেছে। পার্থিব প্রেমের পাশাপাশি গজল গানে আছে অপার্থিব প্রেম, যে প্রেমে স্রষ্টার প্রতি আত্মার আকূতি নিবেদিত। গজল গানে স্রষ্টা আর তার প্রেরিত মহাপুরুষদের প্রতি ভক্তির সঙ্গে মোক্ষ লাভের ইচ্ছা এসে মেলবন্ধন ঘটিয়েছে পার্থিব প্রেমের সঙ্গে।

গজল গান উর্দু ও ফার্সি ভাষায় রচিত এক ধরনের ক্ষুদ্রগীত। আমির খসরু এ গানের স্রষ্টা এবং প্রচারের ক্ষেত্রেও তার অবদান অপরিসীম। তিনি সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজিকে প্রতিরাতে একটি করে গজল শোনাতেন।

গজল গানে কথা বেশি, সুরের প্রাধান্য কম। মূলত হালকা ধরনের গান হলেও সব ধরনের রচনাই এ গানের বিষয়বস্তু হতে পারে। উচ্চভাবপূর্ণ ও গাম্ভীর্যপূর্ণ রচনাও কোন কোন গানে দেখা যায়। এ গানে অনেকগুলো চরণ, কলি বা তুক্ থাকে। প্রথম কলি ‘স্থায়ী’ এবং বাদবাকি কলিগুলো ‘অন্তরা’

আশার প্রদীপ গুলো কখন জানি লিরিক্স | Ashar Prodip Gulo Kokhon Jani Lyrics | Islamic Gazal

গজল ভালো গাইতে হলে ভালো ভাষা-জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। টপ্পা ও ঠুমরির মতো গজল প্রধানত কাফি, পিলু, ঝিঝিট, খাম্বাজ, বারোয়া, ভৈরবী রাগে গাওয়া হয়। গজল গানে একটি বিশেষ আবেদন আছে, তাই এ গান শ্রোতার মনকে রসে আপ্লুত করে তোলে। গজল খুবই জনপ্রিয় গান। সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর, মীর্জা গালিব, দাগ, জওক, আরজু প্রমুখ অনেক কবি অজস্র সুন্দর সুন্দর গজল রচনা করে গেছেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর, সম্রাজ্ঞী নূরজাহান, নবাব ওয়াজেদ আলী শাহর মতো ইতিহাস-প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের রচিত অনেক গজল গানের সন্ধান পাওয়া যায়। বাংলা ভাষায় বেশকিছু গজল রচিত হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা গজল রচনায় পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন।

‘গজল’ শব্দটি আরবি থেকেই চয়িত। এ শব্দের আক্ষরিক অর্থ, প্রেমিকার সঙ্গে কথোপকথন। গজলের পরিভাষায় উল্লেখ হয়েছে, ‘তারুণ্যের পরিস্থিতি বর্ণনা করুন অথবা প্রেমাস্পদের সঙ্গে সংসর্গের উল্লেখ করুন এবং ভালোবাসার চর্চা করুন কিংবা রমণীর সঙ্গে বাক্যালাপ করুন। তাই পরিভাষায় বর্ণিত বিষয়কে অবলম্বন করে গজল রচিত গানকে ‘প্রণয়-সঙ্গীত’ বলেও চিহ্নিত করা হয়। গজল আবার ‘কাব্য-সঙ্গীত’ নামেও পরিচিত।

কারণ গজল গানে শৃঙ্গার রস যেমন মিলন আর বিরহের কথা বলে তেমনি তাতে ভক্তির কথাও উচ্চারিত হয়। দু’ধরনের ভাবের অভিব্যক্তি শৃঙ্গার রসে পরিপূর্ণতা আনে। অন্যদিকে গজল গান রচনায় যে বাণী প্রয়োগ করা হয় তাতে সব ধরনের রসের সমাবেশ দেখা যায়। ফলে গজল গান কাব্যের গুণে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তাই গজল শৃঙ্গার রসাÍক গান হলেও এক ধরনের ‘কাব্য-সঙ্গীত’।

Leave a Comment