এই পথ যদি না শেষ হয় গানের লিরিক্স | পারিবারিক আর্থিক অনটনের জন্য এক সাধারণ পরিবারের বড়োছেলে হিসেবে চাকরির খোঁজ শুরু করেন তিনি। অনেক খুঁজে ১৯৪৬ সালে কলকাতা বন্দরে কেরানির চাকরি নেন উত্তম কুমার। চাকরি করতে গিয়ে কলেজ শেষ করতে পারেননি তিনি। যখন তিনি শেষ বর্ষের ছাত্র তখন তাঁকে কলেজ ছাড়তে হয় কাজের চাপে। পড়াশোনা খুব বেশি দূর করতে না পারার আক্ষেপ ছিলো তাঁর বরাবর।
কলকাতা বন্দরে কেরানির চাকরিতে মাসিক ২৭৫ টাকা মাইনে দিয়ে কর্মজীবন শুরু হয় তাঁর। তবে চাকরি করলেও অভিনয় থেকে বিরত থাকতে পারেননি। রীতিমতো থিয়েটার করতেন এবং টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ায় ঘোরাফেরা করতেন সিনেমায় সুযোগের জন্য। সেকারণে অনেকবার তাঁকে চাকরি কামাই করতে হয়েছে।
এই পথ যদি না শেষ হয় গানের লিরিক্স | Ei poth jodi na sesh hoy ganer lyrics | Uttam Kumar | Hemanta Mukherjee
Movie Name : Saptapadi
Singer : Hemanta Mukherjee And Sandhya Mukherjee
Music : Hemanta Mukhopadhyay
Lyricist : Gauriprasanna Mazumder
Directed by : Ajoy Kar
Label : Saregama Bengali
এই পথ যদি না শেষ হয় গানের লিরিক্স :
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো?
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো?
তুমি বলো..
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো?
লাল লা লা লা ..
কোন রাখালের ওই ঘর ছাড়া বাঁশীতে সবুজের
ওই দোল দোল হাসিতে রাখালের,
কোন ওই ঘর ছাড়া বাঁশীতে সবুজের
ওই দোল দোল হাসিতে
মন আমার মিশে গেলে বেশ হয়।
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো ?
বলবো না, হুম..
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো?
নীল আকাশের ওই দূর সীমা ছাড়িয়ে এই গান
যেন যায় আজ হারিয়ে আকাশের
নীল দূর সীমা ছাড়িয়ে এই গান
যেন যায় আজ হারিয়ে
প্রাণে যদি এ গানের রেশ রয়।
যদি পৃথিবীটা যদি স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো?
তুমি বোলো, না না তুমি বলো, না তুমি বলো
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো?
Ei poth jodi na sesh hoy ganer lyrics :
Ei poth jodi na sesh hoy
Tobe kemon hoto tumi boloto ?
Jodi prithibi-ta swapner desh hoy
Tobe kemon hoto tumi boloto ?
Kon rakhale oi ghor chara banshi-te sobuje
Oi dol dol haasi-te rakhale
Mon amar mishey gele besh hoy
Nil akashe Oi dur shima chariye ei gaan
Jeno jay aaj hariye akashe
Prane jodi e gaaner resh roy
Jodi prithibita shopner desh hoy
Tobe kemon hoto tumi boloto?
উত্তম কুমার এর প্রাথমিক জীবনঃ
উত্তম কুমারের জন্ম ১৯২৬ সালের ৩রা সেপ্টেম্বরে। তাঁর আসল নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি কলকাতায় ভবানীপুরে ৫১ আহিড়ীটোলা স্ট্রীটে তাঁর মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় এবং মা চপলা দেবী। তাঁর এক দিদি ও দুই ভাই যথাক্রমে বরুণ কুমার ও তরুণ কুমার ছিলো। ছোটোবেলাতেই তাঁর দিদি মারা যায়। ছোটো ভাই তরুণ কুমারও ছিলেন বাংলা সিনেমার এক জনপ্রিয় অভিনেতা। তাঁর বাবা ছিলেন কলকাতার মেট্রো সিনেমা হলের এক সাধারণ কর্মচারী। তাদের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার ছিলো।
তিনি প্রথমে চক্রবেড়ীয়া হাই স্কুলে ভর্তি হন এবং পরে সাউথ সাবার্বান স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পাঁচ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা মুকুট নাটকে অভিনয় করে তুমুল প্রশংসিত হন এবং একটি সোনার পদক যেতেন। পরে আবার চোদ্দ পনেরো বছর বয়সে গয়াসুর নাটকে অভিনয় করেও পুরস্কৃত হন। ১৯৪৫ সালে কলকাতার গোয়েঙ্কা কলেজে অব কমার্সে ভর্তি হন। পারিবারিক আর্থিক অনটনের জন্য কলকাতার পোর্টে চাকরি নিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি। শেষ বর্ষে কলেজ ছাড়তে হয় তাঁকে কাজের চাপে। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসে চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে।
ছেলেবেলা থেকেই খেলাধুলা ও অভিনয় পাগল ছিলেন। বাড়ির বড়োদের থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে সিনেমা দেখা নাটক দেখা ছিল তার নেশা। নিজের বাড়িতেই পুরোনো শাড়ি টাঙিয়ে তৈরী করেছিলেন সুহৃদ সমাজ এবং পরে আবার পাড়ার ও স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে পাড়াতেই মাচা ও পর্দা খাটিয়ে গড়ে তুলেছিলেন লুনার ক্লাব এই দুই জায়গাতেই তিনি অভিনয় করতেন। রীতিমতো মেট্রো সিনেমায় গিয়ে ইংরেজি ছবি দেখতেন এবং তাদের অভিনেতাদের স্টাইল নকল করতেন।

তবে তাঁর আদর্শ ছিলেন নাটকে শিশির কুমার ভাদুড়ি ও সিনেমায় প্রমথেশ বড়ুয়া। খেলাধুলা ও শরীরচর্চাতেও ছিলেন পটু। ভলিবল, ফুটবল, ক্রিকেট ও সাতাঁরের পাশাপাশি লাঠি খেলা শিখতেন সুকুমার গুপ্তর কাছে। এছাড়া ননী ঘোষের আখড়ায় কুস্তিও শিখতেন। শুধু তাই নয় ভবানীপুরের বার্ষিক সাতাঁর প্রতিযোগিতায় পর পর তিনবার সাতাঁর বিজয়ী হয়েছিলেন। গানের তালিম নিতেন নিদানবন্ধু বন্দোপাধ্যায়ের কাছে। এছাড়াও উত্তর প্রদেশের এক মৌলানার কাছে হিন্দি ও উর্দুও শিখতেন। তিনি সবেতেই পারদর্শী ছিলেন।