এই মিছে দুনিয়া গজল লিরিক্স | Ai mise duniya gojol lyrics | বাংলা গজল

এই মিছে দুনিয়া গজল লিরিক্স | গজল গানের কলিগুলোর অর্থ প্রায়ই দ্ব্যর্থবোধক। প্রেম যখন পুরুষ বা নারীর প্রতি নিবেদিত হয় তখন সে গজল মানব-প্রেম বা পার্থিব-প্রেম, আবার প্রেম যখন স্রষ্টার উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় তখন তা আধ্যাত্মিক প্রেম। তাই গজল গান এক ধরনের ‘ভাব-সঙ্গীত’ বলেও পরিচিত।

এই মিছে দুনিয়া গজল লিরিক্স | Ai mise duniya gojol lyrics | বাংলা গজল

এই মিছে দুনিয়া গজল লিরিক্স | Ai mise duniya gojol lyrics | বাংলা গজল

এই মিছে দুনিয়া গজল লিরিক্সঃ

এই মিছে দুনিয়ায় তুমি থাকবা কতদিন

হঠাৎ করে উঠবে বেজে

চলে যাওয়ার বীণ…

এই দুনিয়ার মিছে মায়ায় আছো তুমি ডুবে

একবারও ভাবনি হয় চলে যেতে হবে (2)

কি হিসাব দেবে তুমি

শেষ বিচারের দিন..

এই মিছে দুনিয়ায় তুমি থাকবা কতদিন

নতুন সাজে সাজবে তুমি

সাদা পোশাকে

দলে দলে আসবে সবাই

তোমায় দেখিতে (2)

তোমায় মনে রাখবে সবাই

অল্প কিছুদিন

এই মিছে দুনিয়ায় তুমি থাকবা কতদিন

হঠাৎ করে উঠবে বেজে

চলে যাওয়ার বীণ

এই মিছে দুনিয়ায় তুমি থাকবা কতদিন…

 

 

গঠন:

গজল গানের কলিগুলোর অর্থ প্রায়ই দ্ব্যর্থবোধক। প্রেম যখন পুরুষ বা নারীর প্রতি নিবেদিত হয় তখন সে গজল মানব-প্রেম বা পার্থিব-প্রেম, আবার প্রেম যখন স্রষ্টার উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় তখন তা আধ্যাত্মিক প্রেম। তাই গজল গান এক ধরনের ‘ভাব-সঙ্গীত’ বলেও পরিচিত।

গজলের আরেকটি রূপও আছে। সে রূপটি অন্য কোন গানে নেই। আবৃত্তি আকারে গজল পরিবেশন। এসব ধর্মই গজল গান শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভুবনে আলাদা জাত হিসেবে গণ্য।

 

Google News
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

বাংলাদেশে অনেক শিল্পিগোষ্টি বর্তমান শ্রুতি মধুর গজল পরিবেশনা করে থাকে । আমি দেখিনি তোমায় চোখের তারায় বর্তমান গজল গুলোর মাঝে অন্যতম ।

গজল শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এক ব্যতিক্রমধর্মী গান। এ গানের ‘ভাষার কাব্য ভাব, রাগের স্বর বিন্যাস ও তালের ছন্দ মাধুর্য এক অনির্বাচনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে।’

এই মিছে দুনিয়া গজল লিরিক্স | Ai mise duniya gojol lyrics | বাংলা গজল

বাণী:

গজল গানের বাণীতে সুর-মিশ্রণে যেসব বক্তব্য ধরা পড়ে তা অনেকটা এরূপ :

  1. একজন অপরজনের কাছে নিজেকে হেয় করে অন্যকে বড় করে তুলে ধরে।
  2. বাঞ্ছিত মানুষটিকে আয়ত্তে না পেয়ে নিজের জীবনকে ধিকৃত করে।
  3. প্রিয়জনের অদর্শনে ব্যাকুল হয়ে পড়ে।
  4. প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রাণ বিসর্জনের সংকল্প করে।
  5. আনন্দে বা দুঃখে সুরা সিন্ধুতে নিমজ্জিত হয়।
  6. প্রেমে অন্ধ হয়ে উন্মত্ত অবস্থায় পতিত হয়।
  7. প্রেমাম্পদের স্তুতিতে বিভোর হয়ে পড়ে।

এগুলো হল পার্থিব প্রেমের উপকরণ। অপরদিকে ভগবৎ প্রেমের প্রকাশও রয়েছে গানের বাণীতে। ঈশ্বরের কাছে মান-অভিমান, ঈর্ষা-ঈপ্সা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি ও উদ্বেল-উচাটন মূর্ত হয়ে ওঠে গানে।

গজল গানের প্রকৃতি কোমল, ভাবপ্রবণ ও সংবেদনশীল বলে তার পরিধির ক্ষেত্র কিছুটা সীমিত। এ ক্ষেত্রে তিনটি পর্যায় দেখা যায়। যেমন: কাব্যের ক্ষেত্রে, রাগের ক্ষেত্রে এবং তালের ক্ষেত্রে।

শের:

গজল গান দুটো পঙ্‌ক্তি নিয়ে রচিত। প্রতিটি খণ্ডকে ‘শের’ বলা হয়। অনেকগুলো ‘শের’ নিয়ে গজলের অবয়ব। শের কখনও একই বক্তব্য নিয়ে রচিত। আবার এতে কখনও বিভিন্ন বিষয়বস্তুর উপস্থাপনা দেখা যায়। মূল কথা, গজলের কাব্য ভাবই মুখ্য। ভাষার লালিত্য, শব্দের ঝঙ্কায়, ছন্দের মাধুর্য গজলের বৈশিষ্ট্য। গজলের প্রথম শেরকে স্থায়ী এবং অন্যসব শেরকে ‘অন্তরা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। গজল গানে মূলত কাব্যিক ভাব প্রকাশিত।

এই মিছে দুনিয়া গজল লিরিক্স | Ai mise duniya gojol lyrics | বাংলা গজল

রাগ:

রাগের ক্ষেত্রে গজল যে কোন রাগেই গীত হতে পারে। এর জন্য নির্দিষ্ট কোন রাগ নেই। তবে যেসব রাগেই গজল পরিবেশিত হয় সেসব রাগে শৃঙ্গার রস সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে। তাই কাফি, পিলু, খাম্বাজ, ভৈরবি প্রভৃতি চটুল রাগের ব্যবহার গজলে বেশি দেখা যায়। তাই বলে দরবারি কানাড়া, মিয়া-কি-মল্লার, বিলাসখানি টোড়ি, চন্দ্রকোষ প্রভৃতি গম্ভীর চালের রাগেও গজল পরিবেশনে কোন বাধা নেই। তবে দ্রুপদ বা খেয়ালের মতো তাল, বাঁট করা হয় না এবং স্থায়ী ছাড়া সবগুলো অন্তরা একই সুরে গাওয়া হয়।

তাল:

তালের ক্ষেত্রে গজল পরিবেশনের পরিধি কিছুটা সীমিত। কাব্যনির্ভর গান বলে গজলে কোন কঠিন তাল ব্যবহার হয় না। তাতে গজলের কাব্যিকভাবে অন্তরায় সৃষ্টি হয়। তাই স্বল্পমাত্রা আর সরল ছন্দের কাহারবা ও দাদরা তালেই বেশিরভাগ গজল গীত হয়। তালের ক্ষেত্রেও কোন ধরনের কূটলয়কারী বা তেহাই প্রয়োগ করা হয় না এবং গজল প্রধানত মধ্য লয়ে পরিবেশিত হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment