ওগো মা গজল লিরিক্স | মানব-মানবীর প্রেমে গজল গান যেমন মানুষকে অভিভূত করে তোলে, আধ্যাত্মিক প্রেমেও মানুষের মন উচাটন করে তোলে। গজলের প্রেম-গীতির গীত রসে আপ্লুত হয় দেহ-মন। প্রিয়া-মিলন আর স ষ্টা-মিলনের অমর গাথা হয়ে গজল গানের প্রেম-রসে সিক্ত হবে মানুষের মন অনন্তকাল।
ওগো মা গজল লিরিক্স | Ogo Maa Gojol Lyrics | Sadman Sakib | Mayer Gojol
Song: Ogo Maa – ওগো মা
Singer: Sadman Sakib
Lyric & Tune: Saim Al Hasan
Mix Master & Sound Produce: Ishrak Hussain
DOP & Edit: SKM Jahid

ওগো মা গজল লিরিক্স :
আধার রাতের চাঁদ যে তুমি
তুমি ভোরের আলো
তোমায় যখন দেখি আমার
মন হয়ে যায় ভালো (২ বার)
ওগো মা.. ওগো মা.. (২ বার)
জাদু মাখা মুখটি তোমার দেখলে ভরে মন
আদর করে ডাক যখন ওরে খোকা শোন (২ বার)
বলো যদি ছাড়বো সবি তোমায় ছাড়বো না
আর কারো কোলেতে মাগো এ প্রান জোরায় না
ওগো মা.. ওগো মা.. (২ বার)
তোমার মত এত আদর কেউতো করে না
সবার থেকেও প্রিয়ো তুমি, তুমি আমার মা (২ বার)
চলে যদি যাও কখনো, রেখে যেও না
মন বলে মা তোমায় ছাড়া আমি বাঁচবো না
ওগো মা.. ওগো মা.. (২ বার)
আধার রাতের চাঁদ যে তুমি
তুমি ভোরের আলো
তোমায় যখন দেখি আমার
মন হয়ে যায় ভালো (২ বার)
ওগো মা.. ওগো মা.. (২ বার)
Ogo Maa Gojol Lyrics :
গজল এর বৈশিষ্ট্য ::
গজল হালকা মেজাজের লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। আবার হালকা-গম্ভীর রসের মিশ্রণে সিক্ত আধ্যাত্মিক গান। গজল প্রেমিক-প্রেমিকার গান হলেও এ গান এমন একটি শৈলী যাতে প্রেম ও ভক্তির অপূর্ব মিলন ঘটেছে। পার্থিব প্রেমের পাশাপাশি গজল গানে আছে অপার্থিব প্রেম, যে প্রেমে স্রষ্টার প্রতি আত্মার আকূতি নিবেদিত। গজল গানে স্রষ্টা আর তার প্রেরিত মহাপুরুষদের প্রতি ভক্তির সঙ্গে মোক্ষ লাভের ইচ্ছা এসে মেলবন্ধন ঘটিয়েছে পার্থিব প্রেমের সঙ্গে।
গজল গান উর্দু ও ফার্সি ভাষায় রচিত এক ধরনের ক্ষুদ্রগীত। আমির খসরু এ গানের স্রষ্টা এবং প্রচারের ক্ষেত্রেও তার অবদান অপরিসীম। তিনি সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজিকে প্রতিরাতে একটি করে গজল শোনাতেন।
গজল গানে কথা বেশি, সুরের প্রাধান্য কম। মূলত হালকা ধরনের গান হলেও সব ধরনের রচনাই এ গানের বিষয়বস্তু হতে পারে। উচ্চভাবপূর্ণ ও গাম্ভীর্যপূর্ণ রচনাও কোন কোন গানে দেখা যায়। এ গানে অনেকগুলো চরণ, কলি বা তুক্ থাকে। প্রথম কলি ‘স্থায়ী’ এবং বাদবাকি কলিগুলো ‘অন্তরা’
গজল ভালো গাইতে হলে ভালো ভাষা-জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। টপ্পা ও ঠুমরির মতো গজল প্রধানত কাফি, পিলু, ঝিঝিট, খাম্বাজ, বারোয়া, ভৈরবী রাগে গাওয়া হয়। গজল গানে একটি বিশেষ আবেদন আছে, তাই এ গান শ্রোতার মনকে রসে আপ্লুত করে তোলে। গজল খুবই জনপ্রিয় গান। সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর, মীর্জা গালিব, দাগ, জওক, আরজু প্রমুখ অনেক কবি অজস্র সুন্দর সুন্দর গজল রচনা করে গেছেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর, সম্রাজ্ঞী নূরজাহান, নবাব ওয়াজেদ আলী শাহর মতো ইতিহাস-প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের রচিত অনেক গজল গানের সন্ধান পাওয়া যায়। বাংলা ভাষায় বেশকিছু গজল রচিত হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা গজল রচনায় পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন।

‘গজল’ শব্দটি আরবি থেকেই চয়িত। এ শব্দের আক্ষরিক অর্থ, প্রেমিকার সঙ্গে কথোপকথন। গজলের পরিভাষায় উল্লেখ হয়েছে, ‘তারুণ্যের পরিস্থিতি বর্ণনা করুন অথবা প্রেমাস্পদের সঙ্গে সংসর্গের উল্লেখ করুন এবং ভালোবাসার চর্চা করুন কিংবা রমণীর সঙ্গে বাক্যালাপ করুন। তাই পরিভাষায় বর্ণিত বিষয়কে অবলম্বন করে গজল রচিত গানকে ‘প্রণয়-সঙ্গীত’ বলেও চিহ্নিত করা হয়। গজল আবার ‘কাব্য-সঙ্গীত’ নামেও পরিচিত।

কারণ গজল গানে শৃঙ্গার রস যেমন মিলন আর বিরহের কথা বলে তেমনি তাতে ভক্তির কথাও উচ্চারিত হয়। দু’ধরনের ভাবের অভিব্যক্তি শৃঙ্গার রসে পরিপূর্ণতা আনে। অন্যদিকে গজল গান রচনায় যে বাণী প্রয়োগ করা হয় তাতে সব ধরনের রসের সমাবেশ দেখা যায়। ফলে গজল গান কাব্যের গুণে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তাই গজল শৃঙ্গার রসাÍক গান হলেও এক ধরনের ‘কাব্য-সঙ্গীত’।