চঞ্চল মন আনমনা হয় লিরিক্স | হেমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রায় দেড়শোটি বাংলা ছবিতে সুর দিয়েছেন, গান গেয়েছেন। তার প্রয়াণের প্রায় দুই দশক পরেও গ্রামোফোন কোম্পানি অফ ইন্ডিয়া প্রত্যেক বছর অন্তত একটা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের অ্যালবাম প্রকাশ করে থাকে, বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা থাকায় তার পুরোনো গানের পুনর্প্রস্তুতকরণ করে। যে গান তিনি রেকর্ড করেছেন, যে সুর তিনি সৃষ্টি করেছেন, এবং অসংখ্য গায়ক বাংলা এবং ভারতে তার গায়কী ধরন অবিরত নকল/অনুকরণ করার ফলে তার উত্তরাধিকার এখনো জীবন্ত!
চঞ্চল মন আনমনা হয় লিরিক্স | Chanchal Mon Anmona Hoy Lyrics | হেমন্ত মুখোপাধ্যায় | লতা মঙ্গেশকর | অদ্বিতীয়া
🎬ছায়াছবি: অদ্বিতীয়া
🖋গীতিকার: মুকুল দত্ত
🎸সুরকার: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
🎙শিল্পী: হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও লতা মঙ্গেশকর
চঞ্চল মন আনমনা হয় লিরিক্স |
চঞ্চল মন আনমনা হয় যেই তার ছোঁয়া লাগে
চঞ্চল মন আনমনা হয় যেই তার ছোঁয়া লাগে
ভোরের আকাশে আলো দেখে পাখি যেন জাগে
চঞ্চল মন আনমনা হয় যেই তার ছোঁয়া লাগে
সারাদিন রিমঝিমঝিম কত বৃষ্টি, কত বৃষ্টি হয়েছে মন জুড়ে
সারাদিন রিমঝিমঝিম কত বৃষ্টি, কত বৃষ্টি হয়েছে মন জুড়ে
দিশাহারা কোনো পাতা যেন ঝড়ের মুখেতে গেল উড়ে
চোখের পাতায় এত স্বপ্নের ভীড় হয়নি তো আগে
ভোরের আকাশে আলো দেখে পাখি যেন জাগে
চঞ্চল মন আনমনা হয় যেই তার ছোঁয়া লাগে
গুন গুন গুন গানে
ফুলে এসে বসা ভ্রমরের মতো তার মন
এসে বসে মোর মনে
আমি সবকিছু ভুলে গেছি গুন গুন গুন গানে
উচ্ছল মন তোলপাড় অনাসৃষ্টি
অনাসৃষ্টি চলেছে সেই থেকে
উচ্ছল মন তোলপাড় অনাসৃষ্টি
অনাসৃষ্টি চলেছে সেই থেকে
বুঝিনি তো ভুল হয়ে গেছে ঝড়ের মেঘেতে মন রেখে
পিঞ্জর ভেঙে উড়বার নেশা এত হয়নি তো আগে
ভোরের আকাশে আলো দেখে পাখি যেন জাগে
চঞ্চল মন আনমনা হয় যেই তার ছোঁয়া লাগে
চঞ্চল মন আনমনা হয় যেই তার ছোঁয়া লাগে
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এরঃ
প্রারম্ভিক জীবন,
শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম তার মাতামহের বাড়ি পবিত্র বারাণসী শহরে। তার মাতামহ ছিলেন একজন শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসক। তার পৈতৃক নিবাস ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগরে। তার পরিবার কলকাতা শহরে আসে বিশ শতকের প্রথমার্ধে। হেমন্ত সেখানে বড়ো হতে থকেন এবং প্রথমে নাসিরুদ্দিন স্কুল এবং পরবর্তীতে ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে পড়াশোনা করেছিলেন।
সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের, যিনি পরবর্তীকলে বাংলার স্বনামধন্য কবি হয়েছিলেন। ওই সময়কালে বিশিষ্ট লেখক সন্তোষকুমার ঘোষ মহাশয়ের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। ওই সময়ে হেমন্ত ছোটো গল্প লিখতেন, সন্তোষ কুমার কবিতা লিখতেন এবং সুভাষ মুখোপাধ্যায় গান গাইতেন।
ইন্টারমিডিয়েট পাস করে হেমন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান। কিন্তু তিনি সঙ্গীতের জন্য আপন শিক্ষা ত্যাগ করেন। তার সাহিত্যিক হওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিছুদিন তিনি দেশ পত্রিকার জন্যে লেখেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি সম্পূর্ণভাবে সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন।

লতা মঙ্গেশকর এরঃ
প্রারম্ভিক জীবন,
লতা মঙ্গেশকর ১৯২৯ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর তৎকালীন ইন্দোর রাজ্যের রাজধানী ইন্দোর (বর্তমান মধ্যপ্রদেশ) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর একজন মারাঠি ও কোঙ্কিণী সঙ্গীতজ্ঞ এবং মঞ্চ অভিনেতা ছিলেন। তার মাতা সেবন্তী] (পরবর্তী নাম পরিবর্তন করে সুধামতি রাখেন) বোম্বে প্রেসিডেন্সির তালনারের (বর্তমান উত্তর-পশ্চিম মহারাষ্ট্র) একজন গুজরাতি নারী ছিলেন। তিনি দীনানাথের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী নর্মদা সেবন্তীর বড়বোন ছিলেন, যিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
শৈশবে বাড়িতে থাকাকালীন কে এল সায়গল ছাড়া আর কিছু গাইবার অনুমতি ছিল না তার। বাবা চাইতেন ও শুধু ধ্রপদী গান নিয়েই থাকুক। জীবনে প্রথম রেডিও কেনার সামর্থ্য যখন হলো, তখন তার বয়স আঠারো। কিন্তু রেডিওটা কেনার পর নব ঘুরাতেই প্রথম যে খবরটি তাকে শুনতে হয় তা হচ্ছে, কে. এল. সায়গল আর বেঁচে নেই। সঙ্গে সঙ্গেই রেডিওটা ফেরত দিয়ে দেন তিনি। ৫ বছর বয়সে বাবার পরিচালিত গীতি-নাট্যে অভিনয় করেন।
১৯৪১ সালে রেডিওতে দুটি গান রেকর্ড করেন, বাবার মৃত্যুর পর পেশা জীবনে পা রাখেন। ১৩ বছর বয়সে মারাঠি গানের রেকর্ড হয়, কিন্তু সে গান সিনেমা থেকে বাদ যায়। তাঁর প্রথম হিন্দি গান মারাঠি ‘জগভাউ’ নামক ছবিতে। হিন্দি চলচ্চিত্র ‘আপ কি সেবা মে’ প্রথম হিন্দি গান গেয়েছেন তিনি। তারপর ১৯৪৮এ প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায়-এর ছবি ‘শহিদ’ ছবিতে তিনি সুযোগ পান এবং মজবুর সিনেমায় ‘দিল মেরা তোড়া’ গানে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা পান।
আরও দেখুন: