তাকিয়ে থাকা শূন্য দৃষ্টিতে লিরিক্স | Takiye Thaka Sunno Dristite Lyrics | Aurthohin

তাকিয়ে থাকা শূন্য দৃষ্টিতে লিরিক্স | অর্থহীন বাংলাদেশের অন্যতম একটি ব্যান্ড। এই ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা এবং দলনেতা সুমন ১৯৯৯ সালে শুরু হওয়া এই ব্যান্ডের এখন পর্যন্ত ৭টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তাদের প্রথম অ্যালবাম ত্রিমাত্রিক প্রকাশিত হয় ২০০০ সালের এপ্রিল মাসে।

তাকিয়ে থাকা শূন্য দৃষ্টিতে লিরিক্স | Takiye Thaka Sunno Dristite Lyrics | Aurthohin

গানঃ অসমাপ্ত

ব্যান্ডঃ অর্থহীন

 

তাকিয়ে থাকা শূন্য দৃষ্টিতে লিরিক্স | Takiye Thaka Sunno Dristite Lyrics | Aurthohin
Aurthohin | অর্থহীন

তাকিয়ে থাকা শূন্য দৃষ্টিতে লিরিক্স :

তাকিয়ে থাকা শুণ্য দৃষ্টিতে
দেয়ালের অপার্থিব আলোর ভীড়ে,
ওপাশের আলো ফাটল ধরায়
সব যুক্তিতে সব বিশ্বাসে।

আমার শিরায় শিরায় গাঢ় অন্ধকার
শিকড় গড়ে আদরে,
আমার অবশ শরীর
ক্লান্তি হারায় অধিকার নিয়ে।

সব আলো নিভিয়ে দাও
ঘুমাব আমি আলোর শেষে,
জয় হোক ক্লান্তির
জয় হোক অবসাদের।

পৃথিবীর সব ঘুম
আমার চোখের পাতায়,
জড় হয় কিসের আশায়
জানা নেই আমার।

আমার শিরায় শিরায় গাঢ় অন্ধকার
শিকড় গড়ে আদরে,
আমার অবশ শরীর
ক্লান্তি হারায় অধিকার নিয়ে।

সব আলো নিভিয়ে দাও
ঘুমাব আমি আলোর শেষে,
জয় হোক ক্লান্তির
জয় হোক অবসাদের।।

তবুও আঁধার শেষে
দেখা দেয় আলো,
অনেক সম্ভাবনার মাঝে
খেলা করে রোদ।

তাকিয়ে থাকা শূন্য দৃষ্টিতে লিরিক্স | Takiye Thaka Sunno Dristite Lyrics | Aurthohin
Aurthohin | অর্থহীন

ব্যান্ডঃ ইতিহাস ….

  • ১৯৯৩: এই বছর সুমন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিলিংস ত্যাগ করেন। তিনি একক এলবাম করার পরিকল্পনা করেন। তার ইচ্ছা ছিল ভিন্ন ধারার গান করার। তিনি এমনভাবে একক গান করা শুরু করেন যাতে ব্যান্ডের পরিবেশটা একক গানেও বজায় থাকে। তিনি ফায়সাল এবং রাসেলের সাথে তার প্রথম গান করেন। তার গানে ড্রাম বাজিয়েছিল রুমি।
  • ১৯৯৪: সুমন বিভিন্ন ব্যান্ড থেকে আটজন শিল্পী নিয়ে অভিশ্রুতি রেকর্ডিং স্টুডিওতে তার একক এলবাম ‘সুমন ও অর্থহীন’-এর কাজ শেষ করেন। এই এলবামের সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় ছিল ‘অর্থহীন’ নামক গানটি। এই গানে বাংলাদেশের আটজন প্রথমশ্রেণীর গীটারবাদক একসাথে গীটার বাজান। গানটিতে আটাশটি গীটারের একক ছিল।
  • ১৯৯৭: দীর্ঘ তিন বছর পর এই বছর ‘সুমন ও অর্থহীন’ এলবামটি প্রকাশিত হয়। এলবামটি ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। সমালোচকরাও নতুন ধারার এই গানটির প্রশংসা করেন।
  • ১৯৯৮: সুমন নতুন একটি দল গঠন করার পরিকল্পনা করেন। ‘ফেইথ’ ব্যান্ডের টিটি ও সেন্টু তার পরিকল্পনায় সহায়তা করে। আরো কয়েকজন সঙ্গীতশিল্পীকে নিয়ে সুমন ‘সুমন ও অর্থহীন’ নাম দিয়ে ব্যান্ডের কার্যক্রম শুরু করেন।
  • ১৯৯৯: টিটি এবং সেন্টু এই বছরের অক্টোবর মাসে নিজেদের ব্যান্ড ফেইথের কাজে সময় দেয়ার জন্য এই ব্যান্ড ত্যাগ করেন। রুমি তার দল ‘দ্য ট্র্যাপ’ ত্যাগ করে সুমনের দলে যোগ দেন। এই বছরই ব্যান্ডের নাম ঠিক হয় ‘অর্থহীন’। কয়েকমাস পর যুবায়ের এবং আদনান দলত্যাগ করেন। এরপরই শোভন গীটারবাদক এবং গায়ক হিসেবে অর্থহীনে যোগ দেন।
  • ২০০০: এই বছরই ‘মাকসুদ ও ঢাকা’ ও ব্যান্ডের গীটারিস্ট পিকলু অর্থহীনে যোগ দেন। অর্থহীন এই বছরের এপ্রিলে তাদের প্রথম এলবামের কাজ শুরু করে। শোভন পড়ালেখা জনিত কারণে ব্যান্ড থেকে কিছুসময়ের জন্য অবসর নেয়। তন্ময়ও ব্যান্ড ত্যাগ করে। নিলয় দাসের দল ‘দ্য জিনমস’-এর গীটারিস্ট পনির অর্থহীনে যোগ দেন। এই বছরই পনির দলত্যাগ করেন। ‘উইনিং’-এর গায়ক এবং গীটারবাদক দলে যোগ দেন। এই বছরের শেষের দিকে অর্থহীনে প্রথম এলবাম ‘ত্রিমাত্রিক’ প্রকাশিত হয়। এই এলবামটির জনপ্রিয়তা ছিল ব্যাপক। সুমনের নাম ওয়ারউইকের ‘ফেমাস ইউসার লিস্ট’-এ লিপিবদ্ধ হয়। তিনি প্রথম এশিয়ান সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন।
  • ২০০১: রুমি ও রাসেল দলত্যাগ করে। জলি রজার, সাইকো ডেথ এবং ডেথ রো ব্যান্ডের প্রাক্তন ড্রামবাদক শুভ অর্থহীনে যোগদান করে। অর্থহীন জি-সিরিজের পৃষ্ঠপোষকতায় এই বছরের ১৭ নভেম্বর তাদের দ্বিতীয় এলবামের কাজ শুরু করে। ডিসেম্বরের ১০ তারিখে এলবামটি প্রকাশিত হয়। এই এলবামের নাম ছিল ‘বিবর্তন’। ‘ত্রিলয়ের’ কীবোর্ড-বাদক অপু অতিথি সদস্য হিসেবে অর্থহীনে কাজ শুরু করেন। উল্লেখ্য যে, বিবর্তন বাংলাদেশের ব্যান্ডসঙ্গীতের ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসাসফল এলবাম।
  • ২০০২: ‘ক্রনিক’-এর ইমতিয়াজ অতিথি গায়ক এবং রিদম গীটারবাদক হিসেবে অর্থহীনে যোগ দেন। এই বছরের ২৯ নভেম্বর অর্থহীন তাদের তৃতীয় এলবাম ‘নতুন দিনের মিছিলে’ প্রকাশ করে। এই এলবামে রয়েছে ‘সাতদিন’ নামের ২৮ মিনিট ৩২ সেকেন্ড এর একটি প্রগ্রেসিভ মেটাল গান। এটি বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের ইতিহাসে দীর্ঘতম গান। প্রকাশিত ক্যাসেট এর বি পিঠে এই একটি গানই ছিল।
  • ২০০৩: ইমতিয়াজ এবং অপু দলত্যাগ করে। অর্থহীন অতিথি সদস্য না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ‘ডি.এন.এ’-এর শিশির অর্থহীনে কীবোর্ড এবং গীটারবাদক হিসেবে যোগদান করে। এই বছরই ব্যান্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সুমন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুমন আগের মত আর গান করতে পারবেন না বলেও শঙ্কা দেখা দেয়। সুমন মেটালসঙ্গীত গাওয়া কমিয়ে দেন। অর্থহীন তাদের নতুন গায়ক হিসেবে ‘ক্রাল’ ব্যান্ডের রাফাকে দলে নেয়। এই বছরই অর্থহীনের নতুন এলবাম ‘ধ্রুবক’ প্রকাশিত হয়।
  • ২০০৪: সুমনের অসুস্থতার কারণে ব্যান্ডের প্রায় সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এই বছরই সুমন এম.টি.ডির (মাইকেল টবিয়াস ডিজাইন) অধিভুক্ত হন।
  • ২০০৫: সুমনের চোয়ালের হাড়ে মারাত্নক সমস্যা দেয়। চিকিৎসক বলেন যে, সুমনের আগের মত গান করতে পারার সম্ভাবনা খুবই কম। অর্থহীনের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সুমন এবং বাকী সদস্যরা অর্থহীন ভেঙ্গে দেয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সুমন সুস্থ হয়ে উঠতে থাকেন।
    জুন: সুমন আবার গান গাওয়া শুরু করেন এবং ওয়ারফেইজের গীটারবাদক কমলকে অর্থহীনে অতিথি সদস্য হিসেবে বাজানোর জন্য প্রস্তাব করেন। কমল এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। কয়েকমাস পরেই কমল অর্থহীনে স্থায়ী সদস্য হিসেবে যোগ দেন। অর্থহীনে সকল কার্যক্রম আবার শুরু হয়। অর্থহীন তাদের পঞ্চম এলবামের কাজ শুরু করে।
  • ২০০৮: ২০০৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অর্থহীনের ৫ম অ্যালবাম অসমাপ্ত-১ প্রকাশিত হয়। ৫ বছর পর এটি ব্যান্ডের নতুন অ্যালবাম।
  • ২০১৫: ৬ অক্টোবর অর্থহীন ছেড়েছেন রাফা এবং অর্থহীনে যোগ দিয়েছেন মার্ক ডন।
  • ২০১৮: এ বছর বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিক ফ্যানস কমিউনিটির গেট টুগেদারে মহান ফাহিম কে অর্থহীনের নতুন সদস্য হিসেবে ঘোষণা করেন ব্যান্ডের কর্ণধার বেজবাবা সুমন।

 

তাকিয়ে থাকা শূন্য দৃষ্টিতে লিরিক্স | Takiye Thaka Sunno Dristite Lyrics | Aurthohin
Aurthohin | অর্থহীন

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment