তুমি কি কেবলই ছবি লিরিক্স | Tumi Ki Keboli Chobi Lyrics | Hemant Kumar

তুমি কি কেবলই ছবি লিরিক্স |  হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (১৬ জুন ১৯২০ – ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯) একজন কিংবদন্তি বাঙালি কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক এবং প্রযোজক ছিলেন। তিনি হিন্দি সঙ্গীত জগতে হেমন্ত কুমার নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি বাংলা, হিন্দি এবং অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় গান গেয়েছেন। তিনি রবীন্দ্র সংগীতের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পী ছিলেন।

তুমি কি কেবলই ছবি লিরিক্স | Tumi Ki Keboli Chobi Lyrics | Hemant Kumar

 

তুমি কি কেবলই ছবি লিরিক্স | Tumi Ki Keboli Chobi Lyrics | Hemant Kumar 

 

তুমি কি কেবলই ছবি লিরিক্স :

তুমি কি কেবলই ছবি?শুধু পটে লিখাওই যে সুদূর নীহারিকাযারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড়ওই যারা দিনরাত্রিআলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী গ্রহ তারা রবিতুমি কি তাদের মতো সত্য নও?হায় ছবি, তুমি শুধু ছবিতুমি কি কেবলই ছবি?
নয়নসমুখে তুমি নাইনয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁইনয়নসমুখে তুমি নাইনয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁইআজি তাই শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীলআমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিলনাহি জানি, কেহ নাহি জানেতব সুর বাজে মোর গানেকবির অন্তরে তুমি কবিনও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি
তুমি কি কেবলই ছবি?শুধু পটে লিখাওই যে সুদূর নীহারিকাযারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড়ওই যারা দিনরাত্রিআলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী গ্রহ তারা রবিতুমি কি তাদের মতো সত্য নও?হায় ছবি, তুমি শুধু ছবিতুমি কি কেবলই ছবি?
তুমি কি কেবলই ছবি লিরিক্স | Tumi Ki Keboli Chobi Lyrics | Hemant Kumar 

Tumi Ki Keboli Chobi Lyricsn in english :

Tumi Ki Keboli Chhobi,shudhu Pote Likha

Oi – je shudur niharika

Jara kore achhe bhir akasher nir,

Oi jara dinraatri

Alo haathe choliachhe andharer jatri     Groho tara robi,

Tumi ki tader moto satyo nao,

Hai Chhobi,tumi Shudhu Chhobi

Nayanshomukhe tumi nai,

Nayaner majh khane niyechho je thnai–Aji tai

Shyamale shyamal tumi, nilimay nil

Amar nikhil Tomate payechhe tar ontorer mil

Nahi jaani, keho nahi jaane.

Tobo shur baaje more gaane

Kobir ontore tumi kobi

Nao Chhobi, Nao Chhobi ,Nao shudhu Chobi

তুমি কি কেবলই ছবি লিরিক্স | Tumi Ki Keboli Chobi Lyrics | Hemant Kumar 

 

লেখক সাফল্য এবং মুম্বই যাত্রা

১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের দশকে হেমন্ত ভারতীয় গণনাট্য সংঘ (আইপিটিএ) সংস্থার সক্রিয় সদস্য হয়েছিলেন এবং আর এক আইপিটিএ সদস্য – সঙ্গীত রচয়িতা এবং সঙ্গীতজ্ঞ সলিল চৌধুরির সঙ্গে অনুষঙ্গ শুরু করেছিলেন। আইপিটিএ সংস্থার অন্যতম চালিকাশক্তি ছিল ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার দুর্ভিক্ষ এবং এর প্রতিরোধে ব্রিটিশ শাসক ও সম্পদশালী ভারতীয়দের নিষ্ক্রিয়তা।

হেমন্ত ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে সলিল চৌধুরির কথায় ও সুরে চলচ্চিত্রের বাইরে একটা গান গাঁয়ের বধূ রেকর্ড করেন। দু-পিঠের ৭৮ আরপিএম ছ-মিনিটের ওই ডিস্ক রেকর্ডে বাংলার ভিন্ন গতির এক আবেগমথিত প্রচলিত কাঠামোকে নিবদ্ধ করেছিল। এই গান এক উন্নত এবং মমতাময়ী গ্রাম্য নারীর জীবন ও পরিবারকে সরল শান্ত মনোরম করে ফুটিয়ে তুলেছিল এবং বর্ণিত হয়েছিল কীভাবে দুর্ভিক্ষের দৈত্য ও আসন্ন দারিদ্র্যের দ্বারা বিধ্বস্ত হয়েছিল। এই গান হেমন্ত এবং সলিলকে পূর্ব ভারতে এক অভাবনীয় জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল, এককথায়, হেমন্তকে তার সমসাময়িক পুরুষ গায়কদের থেকে এগিয়ে রেখেছিল।

পরবর্তী কয়েক বছরে হেমন্ত এবং সলিল জুটি সমাজকে অনেক গান উপহার দিয়েছিল। প্রায় এই সমস্ত গানেই জনপ্রিয়তার প্রমাণ ছিল।

একই সময়কালে হেমন্ত বাংলা চলচ্চিত্রে সুরসৃষ্টির জন্যে বরাত পেতে শুরু করেন। তার মধ্যে কয়েকটা ছিল পরিচালক হেমেন গুপ্তের জন্যে। কয়েক বছর পর হেমেন যখন মুম্বই যান, ফিল্মিস্তান স্টুডিয়োর ব্যানারে তার পরিচালনায় আনন্দমঠ নামে প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্রে সুরসৃষ্টির জন্যে হেমন্তকে ডাকেন।

ওই ডাকে সড়া দিয়ে ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে হেমন্ত মুম্বই পাড়ি দেন এবং ফিল্মিস্তান স্টুডিয়োতে যোগ দেন। আনন্দমঠ (১৯৫২) চলচ্চিত্রের সঙ্গীত মাঝারি সাফল্য পেয়েছিল। সম্ভবত, এই চলচ্চিত্র থেকে খুবই উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া বন্দে মাতরম গানটায় হেমন্ত একটা কুচকাওয়াজের সুরারোপ করেছিলেন। আনন্দমঠ-এর পর শর্ত চলচ্চিত্রের মতো কয়েকটা ফিল্মিস্তান চলচ্চিত্রে হেমন্ত পরবর্তী কয়েক বছরে সুরসৃষ্টি করেছিলেন, যে গানগুলো মাঝারি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।

একই সঙ্গে হেমন্ত মুম্বইতে নেপথ্য গায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। অভিনেতা দেব আনন্দের জন্যে নেপথ্য গায়ক হিসেবে তার গান শচীন দেব বর্মন সুরারোপিত জাল (“য়েহ রাত, য়েহ চাঁদনি ফির কাঁহা…“), হাউস নম্বর ৪৪ (“চুপ হ্যায় ধরতি, চুপ হ্যায় চাঁদ সিতারে…“)

সোলবা সাল (“হ্যায় আপনা দিল তো আওয়ারা…“), ফান্টুস (“তেরি দুনিয়া মে জীনে সে…“), এবং বাত এক রাত কি (“না তুম হামে জানো…“) খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল এবং এভাবে চলতে থাকে। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যান্য কয়েকজন নায়কের জন্যে নেপথ্য গায়কের কাজ করেছিলেন; যেমন, প্রদীপ কুমার (নাগিনডিটেকটিভ), সুনীল দত্ত (দুনিয়া ঝুঁকতি হ্যায়) এবং ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকের শেষদিকে বিশ্বজিতের জন্যে

(বিস সাল বাদবিন বাদল বরসাতকোহরা) এবং ধর্মেন্দ্রের জন্যে (অনুপমা); তিনি এই সমস্ত চলচ্চিত্রের জন্যে সুরসৃষ্টি করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment