তুমি হৃদয়ের আয়না লিরিক্স | এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ (মঞ্চনাম এন্ড্রু কিশোর হিসাবেই অধিক পরিচিত; ৪ নভেম্বর ১৯৫৫ – ৬ জুলাই ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী গায়ক। তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, যে’জন্য তিনি ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে “জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প”, “হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস”, “ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে”, “আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি”, “আমার বুকের মধ্যে খানে”, “আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন”, “ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা”, “সবাই তো ভালোবাসা চায়” প্রভৃতি।
তুমি হৃদয়ের আয়না লিরিক্স | Tumi hridoyer ayna lyrics | Andrew Kishore | Sabina Yasmin
Movie: Hridoyer Ayna
Singer: Andrew Kishore & Sabina Yasmin
Lyricist: Moniruzzaman Monir
Music: Alam khan
Director: Mokhlesur Rahman
Cast: Riaz & Ayna
Label: Anupam Recording Media
তুমি হৃদয়ের আয়না লিরিক্স :
তুমি চাঁদের জোছনা নও
তুমি ফুলের উপমা নও
তুমি চাঁদের জোছনা নও
ফুলের উপমা নও,
নও কোন পাহাড়ি ঝর্ণা
আয়না.. তুমি হৃদয়ের আয়না।
তুমি সাগর নীলিমা নও
তুমি মেঘের বরষা নও
তুমি সাগর নীলিমা নও
মেঘের বরষা নও,
তুমি শুধু আমারই গয়না
আয়না.. তুমি হৃদয়ের আয়না।
কবির লেখা যত কবিতা
শিল্পীর আঁকা যত ছবি
তোমার তুমির কাছে
হার মেনে যায় যেন সবই।
সাঁঝের বেলা রাঙ্গানো ধুলি
বর্ষাকালের ভরা নদী
তোমার রূপের কাছে
হার মেনে যায় যেন সবই।
তুমি সাগর নীলিমা নও
তুমি মেঘের বরষা নও
তুমি সাগর নীলিমা নও
মেঘের বরষা নও
তুমি শুধু আমারই গয়না
আয়না.. তুমি হৃদয়ের আয়না।
বাবুই পাখির সাজানো বাসা
ময়না পাখির কথাগুলো,
তোমার গুণের কাছে
সবকিছু হার মেনে গেলো।
ভালবাসার রূপালী তারা
সূর্যের মাঝে যত আলো,
তোমার প্রেমের কাছে
সবকিছু হার মেনে গেলো।
তুমি চাঁদের জোছনা নও
তুমি ফুলের উপমা নও
তুমি চাঁদের জোছনা নও
ফুলের উপমা নও,
নও কোন পাহাড়ি ঝর্ণা,
আয়না .. তুমি হৃদয়ের আয়না।
তুমি সাগর নীলিমা নও
তুমি মেঘের বরষা নও
তুমি সাগর নীলিমা নও
মেঘের বরষা নও
তুমি শুধু আমারই গয়না
আয়না .. আমি হৃদয়ের আয়না।
তুমি হৃদয়ের আয়না,
আমি হৃদয়ের আয়না।
tumi hridoyer ayna lyrics :
Tumi chander jochona nou
Tumi fuler upoma nou
Nou kono pahari jhorna
Aayna.. tumi hridoyer aayna
Tumi sagor nilima nou
Tumi megher borosha nou
Tumi shudhu amari goyna
Aayna.. tumi hridoyer aayna
Kobir lekha joto kobita
Shilpir anka joto chobi
Tomar tumir kache Haar mene jaay jeno sobi
Sajher bela rangano dhuli
Borsa kaler bhora nodi
Tomar ruper kache Har mene jaay jeno sobi
এন্ড্রু কিশোর এর প্রারম্ভিক জীবন :
এন্ড্রু কিশোর ১৯৫৫ সালের ৪ঠা নভেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ এবং মাতা মিনু বাড়ৈ রাজশাহীর একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন ।মায়ের কাছে পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয়েছিল। তার শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে রাজশাহী। তার মাতা ছিলেন সংগীত অনুরাগী, তার প্রিয় শিল্পী ছিলেন কিশোর কুমার। প্রিয় শিল্পীর নামানুসারে তার সন্তানের নাম রাখেন ‘কিশোর’। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি সংগীতাঙ্গনেই পা রাখেন।
এন্ড্রু কিশোর আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সঙ্গীত পাঠ গ্রহণ শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কিশোর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধক গান শ্রেণিতে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। কিশোর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।
সাবিনা ইয়াসমিন :
সাবিনা ইয়াসমিন (জন্ম: ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪) একজন বাংলাদেশি নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি তিনি দেশাত্মবোধক গান থেকে শুরু করে উচ্চাঙ্গ, ধ্রুপদী, লোকসঙ্গীত ও আধুনিক বাংলা গানসহ বিভিন্ন ধারার নানান আঙ্গিকের সুরে গান গেয়ে নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি ১৪টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ৬টি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন।
শিল্পকলার সঙ্গীত শাখায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক এবং ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।

সাবিনা শৈশব থেকে গানের তালিম নেওয়া শুরু করেন। তিনি সাত বছর বয়সে প্রথম মঞ্চানুষ্ঠানে অংশ নেন এবং খেলাঘর নামে একটি বেতার অনুষ্ঠানে ছোটদের গান করতেন। ১৯৬২ সালে নতুন সুর চলচ্চিত্রে রবীন ঘোষের সুরে ছোটদের গানে অংশ নেন। চলচ্চিত্রে পূর্ণ নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৭ সালে আগুন নিয়ে খেলা চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। ১৯৭২ সালে অবুঝ মন চলচ্চিত্রের “শুধু গান গেয়ে পরিচয়” গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি প্রথম জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

১৯৭৬ সালে প্রদত্ত ১ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি সুজন সখী চলচ্চিত্রের “সব সখীরে পার করিতে” গানের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন এবং এরপর গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), সুন্দরী (১৯৭৯) ও কসাই (১৯৮০) চলচ্চিত্রের জন্য টানা আরও তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।