তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই গানের লিরিক্স | Tomake Chai Shudhu Tomake Chai Lyrics | এন্ড্রুকিশোর

তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই গানের লিরিক্স | এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ (মঞ্চনাম এন্ড্রু কিশোর হিসাবেই অধিক পরিচিত; ৪ নভেম্বর ১৯৫৫ – ৬ জুলাই ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী গায়ক। তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, যে’জন্য তিনি ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে “জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প”, “হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস”, “ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে”, “আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি”, “আমার বুকের মধ্যে খানে”, “আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন”, “ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা”, “সবাই তো ভালোবাসা চায়” প্রভৃতি।

তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই গানের লিরিক্স | Tomake Chai Shudhu Tomake Chai Lyrics | এন্ড্রুকিশোর

মূল শিল্পীঃ এন্ড্রু কিশোর ও কনকচাঁপা
গীতিকারঃ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
ছায়াছবিঃ তোমাকে চাই
পরিচালকঃ মতিন রহমান
প্রজোযকঃ কামাল ইউসুফ

 

তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই গানের লিরিক্স | Tomake Chai Shudhu Tomake Chai Lyrics | এন্ড্রুকিশোর

 

তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই গানের লিরিক্স :

তোমাকে চাই শুধু, তোমাকে চাই,
আর কিছু জীবনে পাই বা না পাই।
তোমাকে চাই শুধু, তোমাকে চাই,
আর কিছু জীবনে পাই বা না পাই।
আর কিছু জীবনে পাই বা না পাই।বাধন হারা, মনটা আমার, শাসন বারণ মানে না,
তোমার প্রেমে, পাগল পরাণ, আর কিছু তো জানে না।
চোখের স্বপন তুমি, বুকের কাঁপন তুমি,
কত আপন তুমি, জানা নাই, নাই;
তোমাকে চাই শুধু, তোমাকে চাই,
আর কিছু জীবনে পাই বা না পাই।
তোমাকে চাই শুধু, তোমাকে চাই,
আর কিছু জীবনে পাই বা না পাই।
আর কিছু জীবনে পাই বা না পাই।

সারাটি জীবন, ছায়ার মতন, আমার পাশে থাকো না,
বুকেরই ঘরে, যতন করে, আমাকে তুমি রাখো না।
আমার জীবন তুমি, আমার মরণ তুমি,
কত আপন তুমি, জানা নাই, নাই;
তোমাকে চাই শুধু, তোমাকে চাই,
আর কিছু জীবনে পাই বা না পাই।
তোমাকে চাই শুধু, তোমাকে চাই,
আর কিছু জীবনে পাই বা না পাই।
আর কিছু জীবনে পাই বা না পাই।

 

প্রারম্ভিক জীবন :

এন্ড্রু কিশোর ১৯৫৫ সালের ৪ঠা নভেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ এবং মাতা মিনু বাড়ৈ রাজশাহীর একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন ।মায়ের কাছে পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয়েছিল। তার শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে রাজশাহী। তার মাতা ছিলেন সংগীত অনুরাগী, তার প্রিয় শিল্পী ছিলেন কিশোর কুমার। প্রিয় শিল্পীর নামানুসারে তার সন্তানের নাম রাখেন ‘কিশোর’। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি সংগীতাঙ্গনেই পা রাখেন।

এন্ড্রু কিশোর আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সঙ্গীত পাঠ গ্রহণ শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কিশোর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধক গান শ্রেণিতে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। কিশোর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।

তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই গানের লিরিক্স | Tomake Chai Shudhu Tomake Chai Lyrics | এন্ড্রুকিশোর

নেপথ্য সঙ্গীত জীব :

এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের “অচিনপুরের রাজকুমারী নেই” গানের মধ্য দিয়ে। তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী চলচ্চিত্রের “ধুম ধাড়াক্কা”। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতীজ্ঞা চলচ্চিত্রের “এক চোর যায় চলে” গানে প্রথম দর্শক তার গান শুনে এবং গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি অন্যান্য প্লেব্যাক গান রেকর্ড করেন যেমন ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘ভালবেসে গেলাম শুধু’ এর মত জনপ্রিয় সব গান।

কিশোর চলচ্চিত্রের গানে প্রথম সম্মাননা লাভ করেন বড় ভাল লোক ছিল (১৯৮২) চলচ্চিত্রের জন্য। মহিউদ্দিন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে সৈয়দ শামসুল হকের গীত ও আলম খানের সুরে “হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস” গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এই গানের জন্য তিনি প্রথমবারের মত শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের গীত ও সুরে নয়নের আলো চলচ্চিত্রের তিনটি গানে কণ্ঠ দেন, সেগুলো হল “আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি”, “আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন” ও “আমার বুকের মধ্য খানে”।

Google News
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

এটি বুলবুলের পূর্ণাঙ্গ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে প্রথম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের নির্মাণব্যয় কম থাকার কারণে তিনি সৈয়দ আবদুল হাদী, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিনদের মত বড় ও ব্যস্ত শিল্পীদের নিতে পারছিলেন না। ফলে পুরুষ কণ্ঠের জন্য এন্ড্রু কিশোর এবং নারী কণ্ঠের জন্য সামিনা চৌধুরীকে নির্বাচন করেন। তথাপি অভিনেতা জাফর ইকবালের ঠোঁটে তার তিনটি গানই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।

১৯৮৭ সালে তিনি সারেন্ডার চলচ্চিত্রে আলম কানের সুরে তিনটি গানে কণ্ঠ দেন, সেগুলো হল “সবাইতো ভালোবাসা চায়”, “গুন ভাগ করে করে”, ও “ঘড়ি চলে ঠিক ঠিক”। তন্মধ্যে প্রথমোক্ত গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এই গানের জন্য তিনি তার দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯), পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১), কবুল (১৯৯৬), আজ গায়ে হলুদ (২০০০), সাজঘর (২০০৭) ও কি যাদু করিলা (২০০৮) চলচ্চিত্রের গানের জন্য আরও সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment