তোমারো অসীমে লিরিক্স | রবীন্দ্রসঙ্গীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত ও সুরারোপিত গান। বাংলা সংগীতের জগতে এই গানগুলি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকারী। রবীন্দ্রনাথের জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত। এছাড়া ভারতের জাতীয় স্তোত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম্ গানটিতে রবীন্দ্রনাথই সুরারোপ করেছিলেন।
তোমারো অসীমে লিরিক্স | Tomaro Asime Lyrics | Rabindra Sangeet | Piya Chakraborty
Song : Tomaro Asime
Singer : Piya Chakraborty
Music & Lyrics : Rabindranath Thakur
Arranged by :Anupam Roy
Piano & programming : Nabarun Bose
Bass : Kaustav Biswas
Guitar : Rishabh Ray

তোমারো অসীমে লিরিক্স :
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে
যত দূরে আমি ধাই,
কোথাও দুঃখ, কোথাও মৃত্যু,
কোথা বিচ্ছেদ নাই।
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে
যত দূরে আমি ধাই।
মৃত্যু সে ধরে মৃত্যুর রূপ
দুঃখ হয় হে দুঃখের কূপ,
তোমা হতে যবে হইয়ে বিমুখ
আপনার পানে চাই।
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে
যত দূরে আমি ধাই।
হে পূর্ণ তব চরণের কাছে
যাহা কিছু সব আছে, আছে, আছে,
নাই নাই ভয়, সে শুধু আমারই,
নিশিদিন কাঁদি তাই।
অন্তরগ্লানি সংসারভার
পলক ফেলিতে কোথা একাকার,
জীবনের মাঝে স্বরূপ তোমার
রাখিবারে যদি পাই।
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে
যত দূরে আমি ধাই,
কোথাও দুঃখ, কোথাও মৃত্যু,
কোথা বিচ্ছেদ নাই।
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে
যত দূরে আমি ধাই।
সংজ্ঞা:
‘রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় অন্যের সুরারোপিত গানগুলিকে ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বর্গভুক্ত করা হয় না। এই কারণে জনপ্রিয় ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ (সুরকার: পঙ্কজকুমার মল্লিক) গানটিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত পর্যায়ভুক্ত করা হয়নি।

ইতিহাস:
প্রথম গান রচনা:
রবীন্দ্রনাথ রচিত প্রথম গানটি হল ‘গগনের থালে রবি চন্দ্র দীপক জ্বলে’। এই গানটি গুরু নানক রচিত ‘গগন মে থাল রবি চন্দ্র দীপক বনে’ ভজনটির প্রথমাংশের প্রায় আক্ষরিক অনুবাদ। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার ফাল্গুন ১২৮১ (জানুয়ারি, ১৯৭৫) সংখ্যায় এটি প্রকাশিত হয়। আদি ব্রাহ্মমাজ প্রকাশিত ব্রহ্মসংগীত স্বরলিপি গ্রন্থে এটি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন, এটি তারই রচনা। রবীন্দ্রজীবনীকার প্রশান্তকুমার পাল এই গান রচনা ও প্রকাশের ইতিহাস সম্পর্কে লিখেছেন: