ঐ দূর পাহাড়ের ধারে লিরিক্স | ব্যান্ড বলতে বাংলাদেশে প্রচলিত রক ঘরনার সঙ্গীত ব্যান্ড বোঝায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তার গাওয়া পপ সংগীত সৈনিকদের উজ্জীবিত করতো। তার সেই পপ সংগীত থেকেই একটু একটু করে গড়ে উঠেছিল ব্যান্ড সংগীত। আজম খানের হাত ধরে শুরু হয়ে ৮০’র দশক পর্যন্ত রক ঘরনার ব্যান্ডের ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে।
ঐ দূর পাহাড়ের ধারে লিরিক্স | Oi dur paharer dhare lyrics |
Bangladesh Band

ঐ দূর পাহাড়ের ধারে লিরিক্স :
ঐ দুর পাহাড়ের ধারে
দিগন্তেরই কাছে
নিঃসঙ্গ বসে একটি মেয়ে
গাইছে
আপন সুরে আপন সুরে আপন সুরে
ঐ দুর পাহাড়ের ধারে
দিগন্তেরই কাছে
নিঃসঙ্গ বসে একটি মেয়ে
গাইছে
আপন সুরে আপন সুরে আপন সুরে
আমি সেই সুরেরই টানে
ছুটে চলেছি তার পানে
তার বেদনার সঙ্গি হতে
সে সুর আমায়
শুধু ডাকে শুধু ডাকে শুধু ডাকে
ঐ দুর পাহাড়ের ধারে
দিগন্তেরই কাছে
নিঃসঙ্গ বসে একটি মেয়ে
গাইছে
আপন সুরে আপন সুরে আপন সুরে
মনে হয় তার সেই সুরে
কত বেদনা আছে লুকিয়ে ।।
শত দুঃখের রজনী পেরিয়ে
সেই সুর যেন
ভেসে আসে ভেসে আসে ভেসে আসে
ঐ দুর পাহাড়ের ধারে
দিগন্তেরই কাছে
নিঃসঙ্গ বসে একটি মেয়ে
গাইছে
আপন সুরে আপন সুরে আপন সুরে

বাংলাদেশে ব্যান্ড :
সংগীতের সূত্রপাত ঘটে আজম খান (মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক আজম) এর হাত ধরে। ব্যান্ড বলতে বাংলাদেশে প্রচলিত রক ঘরনার সঙ্গীত ব্যান্ড বোঝায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তার গাওয়া পপ সংগীত সৈনিকদের উজ্জীবিত করতো। তার সেই পপ সংগীত থেকেই একটু একটু করে গড়ে উঠেছিল ব্যান্ড সংগীত। আজম খানের হাত ধরে শুরু হয়ে ৮০’র দশক পর্যন্ত রক ঘরনার ব্যান্ডের ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে।
ইতি হাস
ব্রিটিশ আমল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন হোটেল ও নবাব পরিবারের আমন্ত্রণে ব্রিটিশ ব্যান্ড ও সঙ্গীত তারকাদের ঢাকায় গান পরিবেশনের খবর পাওয়া যায়। পাক-ভারত বিভক্তির পরে ১৯৬৩ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুলের এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রথম ব্যান্ড ধাঁচের গানের খবর পাওয়া যায়। সেই অনুষ্ঠানে ১৭ বছর বয়সী কিশোর টেলফার জনসন গিটার বাজার আর ক্লিফ রিচার্ডের গান পরিবেশন করেন। একই স্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়ূয়া ফজলে রব, আলমগীর (পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক), রফিক ও সাব্বির ব্যান্ড দল গঠন করেন।
বলা হয়, তাদের হাতেই জন্ম নেয় বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড আইওলাইটস। হোটেল শাহবাগ ও ঢাকা ক্লাবে নিয়মিত পারফর্ম করে ব্যান্ড দলটি। ১৯৬৫ সালে প্রথম ব্যান্ড হিসেবে টিভিতেও পারফর্ম করে ব্যান্ডটি। আইওলাইটসের সমকালীন আরেকটি ব্যান্ডের জন্ম চট্টগ্রামে। নাম জিংগা শিল্পগোষ্ঠী। সঙ্গীতবোদ্ধা ও ইতিহাস রচয়িতাদের মতে ‘জিংগা’ একটি পারিবারিক ঘরানার ব্যান্ড। কারও কারও মতে, এটি বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড। এমনকি ইন্টারনেট ও কোনো কোনো ইতিহাস রচয়িতাও জিংগাকে এ দেশের প্রথম ব্যান্ড বলে থাকেন।
তবে জিংগাকে দেশের প্রথম ব্যান্ড বলার বিশেষ কোনো তথ্য-প্রমাণ মেলে না। এ দলের গায়ক ওমর খালেদ রুমী পরবর্তীকালে আরেকটি ব্যান্ডের হয়ে বাংলায় গান করা শুরু করেন। সে বিচারে বলা যায়, তিনিই প্রথম বাংলা গানের ব্যান্ডশিল্পী।
জিংগার পর চট্টগ্রামে জন্ম নেয় আরেক ব্যান্ড লাইটনিংস। ১৯৬৭ সালে ফরিদ রশীদ, নিওম্যান্ডেজ, নোয়েল ও শাকিল গড়ে তোলেন লাইটনিংস ব্যান্ডটি। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাহমুদ, তোতা, চিত্রনায়ক জাফর ইকবাল ও ফারুক মিলে ব্যান্ড গঠন করেন র্যাম্বলিং স্টোনস। দুটি ব্যান্ডই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। একই বছরে গঠিত হয় উইন্ডি সাইট অব কেয়ার ব্যান্ড। ১৯৬৮ সালে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আইওলাইটস, উইন্ডিসাইট অব কেয়ার, র্যাম্বলিং স্টোনস ও লাইটনিংস একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ ব্যান্ড নির্বাচিত হয় উইন্ডি সাইট অব কেয়ার। এ ব্যান্ডগুলোর পাশাপাশি ১৯৬৬ সালে নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেওয়া ‘বকলম’ ব্যান্ডটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠা পায় ফায়ার অ্যান্ড আইস ব্যান্ডটি। ১৯৬৯ সালে প্রথম ভাঙনের কবলে পড়ে র্যাম্বলিং স্টোনস। এ ব্যান্ডের সদস্যরা আলাদা হয়ে গিয়ে তৈরি করে নতুন ব্যান্ড ‘টাইম গো মোশন’। এরপরই দেশের প্রথম ব্যান্ড আইওলাইটসের ভাঙন ধরে। ড্রামার সাব্বির এবং রিদম গিটারিস্ট রফিক ব্যান্ড ছেড়ে দেওয়ায় এটি ভেঙে যায়।
- ভালো আছি লিরিক্স | Valo Achi Lyrics | Andrew Kishore | Kanak Chapa
- বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর লিরিক্স | Bristy Pore Tapur Tupur lyrics | Selim Chowdhury
- সেই মেয়েটি লিরিক্স | Sei Meyeti Lyrics | খালিদ হাসান মিলু | মৌসুমী
- তুমি চাঁদের জোছনা নয় লিরিক্স | Tumi Chader Jochona Nou Lyrics | এন্ড্রুকিশোর | সাবিনা ইয়াসমিন
- ওগো মোর পেয়ারা নবি লিরিক্স | Ogo Mor Peyara Nabi Lyrics | Sadman Sakib