দেখা হলো বছর চারেক পর কবিতা লিরিক্স | সুব্রত মিত্র একটি বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । বিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই তিনি সহপাঠীদের সাথে কাছাকাছি সিনেমা হলে ব্রিটিশ এবং হলিউডের চলচ্চিত্র দেখতেন । কলেজে পড়ার সময়ে তিনি ঠিক করেন তিনি একজন আর্কিটেক্ট বা একজন চিত্রগ্রাহক হবেন । তিনি ক্যামেরা সহকারীর কোন কাজ না পেয়ে বিজ্ঞানে ডিগ্রীর জন্য পড়াশোনা করতে থাকেন ।
দেখা হলো বছর চারেক পর কবিতা লিরিক্স | Dekha holo bochor charek por kobita lyrics | কবিতা | সুব্রত মিত্র
দেখা হলো বছর চারেক পর কবিতা লিরিক্সঃ

সুব্রত মিত্র:
১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে বিখ্যাত ফরাসি চলচ্চিত্র পরিচালক জঁ রনোয়ার দ্য রিভার ছবি তুলতে কলকাতায় আসেন । সুব্রত মিত্র এই ছবিতে কাজ পাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন । কিন্তু তিনি তার বাবার সাহয্যে শুটিং দেখবার অনুমতি লাভ করেন । সেই সময়ে তিনি শুটিং-এর বিশদ বিবরণ এবং ছবি আঁকেন যার মধ্যে আলো, ক্যামেরা এবং অভিনেতাদের নড়াচড়া সমস্ত কিছুর বর্ণনা ছিল । একদিন চিত্রগ্রাহক ক্লদ রনোয়ার শুটিং-এর ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য তার বিবরণ দেখতে চান । এইভাবে তিনি এই চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক ক্লদ রনোয়ারের সান্নিধ্যে আসেন। এছাড়াও তিনি এই ছবিতে কাজ করার সময়ে সত্যজিৎ রায়ের সাথে পরিচিত হন। যিনি এই ছবিতে পরিচালক জঁ রনোয়ারের সাহায্যকারী হিসাবে ছিলেন।

১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক হিসাবে মাত্র বাইশ বছর বয়েসে তার চলচ্চিত্র জীবনের সূচনা হয় । চলচ্চিত্রের ক্যামেরার ব্যবহার সম্পর্কে এর আগে তার কোন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ছিল না। দ্য রিভার ছবিতে পর্যবেক্ষক হিসাবে তার অভিজ্ঞতা নিয়েই তিনি পথের পাঁচালীর চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন । পথের পাঁচালী থেকে শুরু করে নায়ক সত্যজিৎ রায়ের এই দশটি ছবি ছাড়াও তিনি অন্য পরিচালকের বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দি ছবিতে কাজ করেছেন ।
বাংলা চলচ্চিত্রকে পরিণত এবং আন্তর্জাতিক করে তোলার ক্ষেত্রে অন্যতম পথিকৃৎ তিনি ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহকের জাতীয় পুরস্কার এবং ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে সারাজীবনের কাজের স্বীকৃতি হিসাবে কোডাক পুরস্কার লাভ করেন । শেষজীবনে তিনি সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউটের সিনেমাটোগ্রাফির অধ্যাপক ছিলেন ।