GLive Music | সঙ্গীত জিলাইভ | truth alone triumphs

নাভেদ পারভেজ | বাঙালি সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, আয়োজক ও প্রযোজক

নাভেদ পারভেজ | বাঙালি সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, আয়োজক ও প্রযোজক

নাভেদ পারভেজ | বাঙালি সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, আয়োজক ও প্রযোজক

নাভেদ পারভেজ একজন বাংলাদেশি সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, আয়োজক ও প্রযোজক। ২০১৪ সালে কিস্তিমাত চলচ্চিত্র গান রচনা করার মাধ্যমে নাভেদ সঙ্গীত শিল্পে তার কর্মজীবনের সূচনা করেন। তিনি চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজ, মিউজিক ভিডিও, টেলিভিশন নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান এবং বিজ্ঞাপনের জন্য সংগীত পরিচালনা করেছেন। তিনি যদি একদিন, কিস্তিমাত ও মুসাফির চলচ্চিত্র গুলোতে সঙ্গীত পরিচালনা করে বিশেষ ভাবে পরিচিত।

নাভেদ পারভেজ

প্রাথমিক জীবন

নাভেদ ঢাকার মিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৩ বছর বয়সে বাবা মায়ের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং ১৬ বছর বয়স থেকে সঙ্গীত পরিচালনা শুরু করেন। তিনি নিউ ইয়র্ক শহর-এর ব্রুকলিন কলেজ থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদ-এর গান নাভেদকে সঙ্গীত জগতের প্রতি উৎসাহিত করে এবং এরপর তিনি বিভিন্ন ধরণের গান তৈরি করেন এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটক পরিচালকদের ডেমো পাঠানো শুরু করেন। এই সুত্র ধরে চলচ্চিত্র পরিচালক আশিকুর রহমান একদিন নাভেদকে কল করেন এবং তার কিস্তিমাত চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার সুজোগ করে দেন। নাভেদের সঙ্গীত পরিচালনায় এই চলচ্চিত্রের রোমান্টিক গান ‘’শুধু একবার বল’’ অভাবনীয় সাফল্য পায়। বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক অমল মালিক পরিচালিত ‘’সুরাজ ডুবা হ্যায়’’ গানে নাভেদ অতিরিক্ত শব্দ প্রগ্রামার হিসেবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পী ফ্লিন্ত জে নাভেদের সঙ্গীতায়োজন ও প্রযোজনায় দুইটি পাঞ্জাবি ভাষার গানে কন্ঠ দিয়েছেন।

এছাড়াও তিনি ২০২০ সালে রবিউল ইসলাম জীবনের লিখিত বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ গানটি পরিচালনা করেন।

 উল্লেখযোগ্য কাজ

নাভেদের সুর-সংগীতে  উল্লেখযোগ্য কাজ – কণা, কর্নিয়া, জুয়েল মোর্শেদ, লুইপা, স্বপ্নীল সজীব ও তামান্না প্রমির একক, আসিফ আকবরের দুটি গান, জায়েদ রিজওয়ানের ওয়েব সিরিজ ‘আঘাত’-এর টাইটেল, রায়হান রাফির ‘পরান’ ও ওয়ালিদ আহমেদের ‘লিভ ফর লাইফ’ ছবির একাধিক গান।

নাভেদ পারভেজের সুর-সংগীতে  জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘ফেরাতে পারিনি’ (রেহান রসুল), ‘রোজ বেলাশেষে’ (মাহতিম শাকিব), ‘প্রেমের বাকি গল্প সাজাই’ (এপি শুভ), ‘দিল আমার খুশিতে ড্যাং ড্যাং করে’ (অয়ন চাকলাদার), ‘আমি পারবো না তোমার হতে’ (তাহসান, কোনাল) প্রভৃতি।

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক কাজও করছেন নাভেদ। ফ্লিন্ট জে’র ‘রুলা হো গ্যায়া’ বের হবে এ বছরেই। বলিউডের ‘সুরজ ডুবা হ্যায়’ গানে মিউজিক প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি।

নাভেদ এখন নাটকের গানে বেশি মনোযোগী। তার কথায়, ‘নাটকের গানই এখন ট্রেন্ডিং। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ের উৎসাহে নাটকে আবহসংগীতকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারছি। এখন অনেক নির্মাতা আবহসংগীতের জন্য আলাদাভাবে কম্পোজারদের কাজ দিচ্ছেন। সুতরাং নতুন একটি দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে।’

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version