পথের ক্লান্তি ভুলে লিরিক্স | Pother Klanti Bhule Lyrics | Hemanta | হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

পথের ক্লান্তি ভুলে লিরিক্স | হেমন্ত মুখোপাধ্যায়রা তিন ভাই এবং এক বোন, নীলিমা। বড়ো ভাই শক্তিদাস মুখোপাধ্যায় চাকরি করতেন,সেজো ভাই তারাজ্যোতি ছোটো গল্প লিখতেন। ছোটো ভাই অমল মুখোপাধ্যায় কিছু বাংলা চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন এবং গানও গেয়েছিলেন, তার গান ‘এই পৃথিবীতেই সারাটা জীবন’; নামকরা চলচ্চিত্রগুলো ছিল হসপিটাল এবং অবাক পৃথিবী। তিনি ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকে কিছু গান রেকর্ড করেছিলেন এবং জীবনের অনেকটা পথ একলাই, হেমন্তের এই গানে খুবই স্মরণীয় সুরও দিয়েছিলেন।

পথের ক্লান্তি ভুলে লিরিক্স | Pother Klanti Bhule lyrics | Hemanta | হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

 

Lyricist : Gauri Prasanna Mazumder

Singer : Hemanta Mukherjee

Composer : Hemanta Mukherjee

Movie : Marutirtha Hinglaj

 

পথের ক্লান্তি ভুলে লিরিক্স | Pother Klanti Bhule lyrics | Hemanta | হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

 

পথের ক্লান্তি ভুলে লিরিক্স :

পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহ ভরা কোলে তব
মাগো, বলো কবে শীতল হবো
কত দূর আর কত দূর বল মা ।।

আঁধারের ভ্রূকুটিতে ভয় নাই,
মাগো তোমার চরণে জানি পাবো ঠাঁই,
আর আঁধারের ভ্রূকুটিতে ভয় নাই,
মাগো তোমার চরণে জানি পাবো ঠাঁই,
যদি এ পথ চলিতে কাঁটা বেঁধে পায়
হাসিমুখে সে বেদনা সবো।
কত দূর আর কত দূর বল মা ।।

চিরদিনই মাগো তব করুণায়
ঘর ছাড়া প্রেম দিশা খুঁজে পায়
ঐ আকাশে যদি মা কভু ওঠে ঝড়
সে আঘাত বুকে পেতে লবো।
কত দূর আর কত দূর বল মা ।।

যতই দুঃখ তুমি দেবে দাও
তবু জানি কোলে শেষে তুমি টেনে নাও,
মাগো যতই দুঃখ তুমি দেবে দাও
তবু জানি কোলে শেষে তুমি টেনে নাও,
মাগো তুমি ছাড়া এ আঁধারে গতি নাই
তোমায় কেমনে ভুলে রবো
কত দূর আর কত দূর বল মা ।।

কর্মজীবনে সাফল্য :

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দশকের মাঝামাঝি হেমন্ত একজন গায়ক ও সুরকার হিসেবে তার অবস্থান মজবুত করেছিলেন। তিনি নিজে গাইতে এবং সুর করতে মূলত পছন্দ করতেন সহজ-সরল মেলডিপ্রধান গান, কেননা বাঙালীর সাঙ্গীতিক অন্তরটি সুরকার ও গায়ক হিসাবে খুব ভালো অনুভব করতেন। বাংলায় তিনি রবীন্দ্র সংগীতের একজন শীর্ষস্থানীয় শিল্পী ছিলেন এবং সম্ভবত পুরুষ গায়কদের মধ্যে খুবই অগ্রগণ্য বিবেচ্য ছিলেন।

১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের মার্চে কলকাতায় দেবব্রত বিশ্বাসের (১৯১১-১৯৮০) সম্মানে হেমন্ত এক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন; ওই অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস নিঃসংকোচে বলেছিলেন যে, হেমন্ত হচ্ছে রবীন্দ্র সঙ্গীতকে জনপ্রিয় করে তোলার ‘দ্বিতীয় নায়ক’, প্রথম জন হলেন কিংবদন্তি পঙ্কজ কুমার মল্লিক। রবীন্দ্রসঙ্গীত আর রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে হেমন্তকুমার তার আত্মকথা “আনন্দধারা” এক জায়গায় লিখেছেন-

পথের ক্লান্তি ভুলে লিরিক্স | Pother Klanti Bhule lyrics | Hemanta | হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

” সারা পৃথিবীর গানের সুরকে আয়ত্ত করে নতুন সুর সৃষ্টি করলেন রবীন্দ্রনাথ । সেই সুরের আলপনাকে বাংলা গানে ছিটিয়ে দিলেন । হয়ে গেল এক অপূর্ব সৃষ্টি । সর্বযুগের, সর্বকালের সৃষ্টি । এতবড়ো সুরকার আজও জন্মায়নি কোন দেশে। এই বুড়ো পৃথিবীকে ইচ্ছে হয় জিজ্ঞাসা করি, বয়েস তো অনেক হল। রবীন্দ্রনাথের মতো এমন সর্বতোমুখী প্রতিভা আর দেখেছে একটা ।

 মুম্বইতে নেপথ্য গায়নের পাশাপাশি হেমন্ত সুর সৃষ্টিকারীর একটা ঘরানা গড়ে তুলেছিলেন। তিনি নাগিন (১৯৫৪) নাম এক হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্যে সুর সৃষ্টি করেছিলেন, যেটা ওই চলচ্চিত্রে সঙ্গীতের জন্যেই বড়ো সাফল্য এসেছিল। নাগিনের গানগুলো ধারাবাহিকভাবে দু-বছর তালিকা-শীর্ষে অবস্থান করেছিল এবং ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে হেমন্তর মর্যাদাপূর্ণ ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ সংগীত নির্দেশনা পুরস্কার লাভে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে দিয়েছিল।

ঠিক ওই বছরই তিনি বাংলা চলচ্চিত্র শাপমোচনের জন্যে সঙ্গীত প্রস্তুত করেন, যেখানে অভিনেতা উত্তম কুমারের জন্যে নেপথ্য কণ্ঠে চারখানা গানও গেয়েছিলেন। এটা নেপথ্য গায়ক-নায়ক হিসেবে হেমন্ত-উত্তম জুটির এক লম্বা মেলবন্ধনের শুরুয়াত ছিল। তারা দুজনে পরবর্তী দশক জুড়ে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ভীষণ জনপ্রিয় গায়ক-নায়ক জুটি ছিলেন।

Google News
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দশকের শেষ দিকে হেমন্ত অসংখ্য বাংলা এবং হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্যে গান গেয়েছিলেন এবং সুর দিয়েছিলেন, অসংখ্য রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং চলচ্চিত্রের বাইরের গান রেকর্ড করেছিলেন। যার মধ্যে প্রায় সবই, বিশেষ করে বাংলা গান অত্যধিক জনপ্রিয় হয়েছিল। ওই সময়কালকে তার কর্মজীবনে সাফল্যের শীর্ষবিন্দু হিসেবে ভাবা হয় এবং যেটা মোটামুটি এক দশক স্থায়ী ছিল। তিনি নচিকেতা ঘোষ, রবিন চ্যাটার্জী, সলিল চৌধুরী প্রমুখ বাংলার বিশিষ্ট সঙ্গীত নির্দেশকের সুরে গান গেয়েছেন।

বেশ কিছু নামকরা চলচ্চিত্রে হেমন্ত সুর সৃষ্টি করেছেন; তার মধ্যে আছে: বাংলায় হারানো সুর, মরুতীর্থ হিংলাজ, নীল আকাশের নীচে, লুকোচুরি, স্বরলিপি, দীপ জ্বেলে যাই, শেষ পর্যন্ত, কুহক, দুই ভাই, সপ্তপদী এবং হিন্দিতে জাগৃতি, এক হি রাস্তা।

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment