প্রিন্স মাহমুদ বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী পরিচালক। গীতিকার হিসেবে ৯০ দশক থেকে বাংলাদেশে ব্যান্ড শিল্পীদের একক এবং যৌথ অ্যালবামের গান লেখা, সুর করা এবং কম্পোজিশনের কাজ করেছেন তিনি। তার লেখা ও সুর করা একাধিক গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ১৯৯৫ সালে ‘শক্তি’ অ্যালবামের মধ্য দিয়ে মিশ্র শিল্পীর গানের অ্যালবাম প্রকাশ শুরু করেন তিনি। একক, দ্বৈত ও মিক্সড মিলিয়ে প্রিন্স মাহমুদের ৪০তম অ্যালবাম ‘নিমন্ত্রণ’।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
প্রিন্স মাহমুদের জন্ম খুলনা জেলায়। পড়াশোনা করেছেন বাংলা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স।
কর্মজীবন
প্রিন্স মাহমুদ বর্তমানে গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গীতের শুরু ছেলেবেলা থেকেই। অনেকটা আড়ালে,অগোচরে পরিবারের ইচ্ছার বাইরে গিয়েই তার গান শেখা এবং গান করা শুরু করেন তিনি। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ব্যান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দি ব্লুজ নামের একটি ব্যান্ডের ভোকালিস্ট ছিলেন বেশ কিছু দিন।
তারপর কলেজের গন্ডি পেরিয়ে শুরু করেন পুরো দমে কম্পোজিশন। গান কম্পোজিশনের পাশাপাশি তিনি গানও লেখা শুরু করেন। সঙ্গীতের ভুবনে প্রিন্সের এর পথ চলা শুরু হয় ৮০র দশকের একেবারে শেষ প্রান্তে এই দি ব্লুজ ব্যান্ড এর ভোকাল ও গিটারিস্ট হিসেবে।
এরপর ৯০ দশকের শুরুতে প্রিন্স গঠন করেন ‘ফ্রম ওয়েস্ট’ নামক একটি ব্যান্ড যেখানে ব্যান্ড লিডার এবং মূল ভোকাল ছিলেন তিনিই। সেই ব্যান্ড এর আলোচিত একটি গান ছিল রাজাকার আলবদর কিছুই রইবো নারে/উপরে দালাল ভিতরে চোর কিছুই হইবো নারে/সব রাজাকার ভাইসা যাইবো বঙ্গোপসাগরে গানটি। ফ্রম ওয়েষ্ট এর প্রকাশিত প্রথম অ্যালবাম এর নাম ছিল ‘সে কেমন মেয়ে’।
জনপ্রিয় গান
- বাংলাদেশ – জেমস (গায়ক)
- মা (দশ মাস দশ দিন) – জেমস (গায়ক)
- বাবা (বাবা কতদিন দেখিনা তোমায়) – জেমস (গায়ক)
- ১২ মাস – আইয়ুব বাচ্চু
- আজ জন্মদিন তোমার
- এক নদী যমুনা – জেমস (গায়ক)
- একা একা কি থাকা যায় – আইয়ুব বাচ্চু
পুরস্কার ও সম্মাননা
সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস
আরও পড়ুনঃ