কি করে বলবো তোমায় গান লিরিক্স | ki kore bolbo tomay gan lyrics : পলক মুছল (জন্ম ৩০শে মার্চ ১৯৯২) একজন ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। তিনি এবং তার ছোট ভাই পলাশ মুছল, দরিদ্র শিশুদের জন্য তহবিল যোগাড় করতে ভারতে এবং বিদেশে স্টেজ শো করেন। যে শিশুরা হৃদরোগে ভুগছে এবং আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন তাদের চিকিৎসায় জন্য তারা এই তহবিল তৈরী করেছেন।

কি করে বলবো তোমায় গান লিরিক্স | ki kore bolbo tomay gan lyrics | Palak Muchhal | Papon | 2016
Movie – Ki Kore Toke Bolbo (2016)
Singers – Palak Muchhal & Papon
Music Composer – Jeet Ganguly
Lyrics – Prasen
Directed by – Rabi Kinagi
কি করে বলবো তোমায় গান লিরিক্স :

ki kore bolbo tomay gan lyrics in roman :
Ki kore bolbo tomay
Ashole mon ki je chay
Keno se paliye beray
tomar theke
Ki kore bolbo tomay
Ashole mon ki je chay
Keno se paliye beray
tomar theke
Tumi jante paroni
koto golpo pure jay
Tumi chinte paroni
amake hay
Ki kore bolbo tomay
Ashole mon ki je chay
Keno se paliye beray
tomar theke
Poth bhule gechi chole
durer kuyashay
Tobu amar fire ashar
sotti nei upay
Tumi amar jiter baaji
tumi amar haar
Ki kore bolbo tomaye
Asole mon ki je chaay
Keno se paliye beray
tomar thekei
Jodi boli choragoli
Moner jay kothai
Asbe ki rakhbe ki
Tomar otha porai
Tumi amar jaliye neoa
Kono shuktara
Ki kore bolbo tomay
Ashole mon ki je chay
Keno se paliye beray
tomar theke

লেখক পরিচিত :
২০১৩র রাখির দিন মুছল, ভাই পলাশ মুছলের সাথে
পলক মুছল ৩০ শে মার্চ, ১৯৯২ তে জন্মগ্রহণ করেন তার জন্ম হয় ইন্দোরের একটি মাহেশ্বরী মাড়ওয়ারি পরিবারে এবং তিনি বিশুদ্ধ নিরামিষাশী (ভেগান)। তার মা, অমিতা মুছল, একজন গৃহবধূ এবং তার বাবা, রাজকুমার মুছল, একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন। তার একটি ছোট ভাই আছে, পলাশ মুছল। তিনি, ইন্দোরের শ্রী আগ্রাসেন বিদ্যালয় স্নেহ নগর, থেকে পড়াশুনো করেন। ২০১৩ সালের মে মাসে, মুছল বলেন যে, তিনি ইন্দোরের একটি কলেজ থেকে বি .কম এর শেষ বছরের পড়াশুনো করছেন।
মুছল রাজস্থানের প্রতাপগড় জেলার ছত্তিসদারি শহরের স্থানীয় বাসিন্দা, এখানে তার পিতামহের বাড়ি। তিনি চার বছর বয়সে গান গাওয়া শুরু করেন। তিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিয়েছেন।
দাতব্য কাজ
১৯৯৭–২০০০
কোন সময়ে… [আমি আমার স্বাভাবিক শৈশবের অভাব টের পাই ], কিন্তু তারপর, আমার মনে আসে যে আমি আমার শৈশবকে হারালেও ঠিক আছে। বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলো, কারো জীবন বাঁচানোর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।
—পলক মুছল (২০০৭ সালে)
মুছল চার বছর বয়সে কল্যাণজি-আনন্দজি লিটল স্টার এর একজন সদস্য হন, এটি তরুণ গায়কদের একটি দল। তার সাত বছর বয়সে, ১৯৯৯ এ কার্গিল যুদ্ধের সময়, তিনি এক সপ্তাহ ধরে তার বাড়ি ইন্দোরে দোকানে দোকানে গান গেয়ে বেড়াতেন, মৃত ভারতীয় সেনাদের পরিবারের জন্য তহবিল সংগ্রহ করার জন্য। তার প্রচেষ্টা ভারতীয় গণমাধ্যমে উল্লেখযোগ্য প্রচার পায় এবং তিনি ₹২৫,০০০ (ইউএস$৮১০) তোলেন। ঐ বছরের শেষে, ওডিশা ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে তিনি গান গেয়েছিলেন।
দুস্থ শিশুদের, নিজের জামা দিয়ে ট্রেন কম্পার্টমেন্ট পরিষ্কার করতে দেখে, তিনি অন্যদের সাহায্য করার জন্য নিজের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রায় একই সময়, ইন্দোরের নিধি বিনয় মন্দিরের শিক্ষকেরা মুছলের কাছে আসেন এবং তার বাবা মাকে অনুরোধ করেন, তাদের একটি ছাত্র লোকেশের জন্য অর্থসংগ্রহ করতে একটি দাতব্য শো করার জন্য। লোকেশ জন্মগত হৃদযন্ত্রে ত্রুটিতে ভুগছিল। দরিদ্র লোকেশের বাবা একটি জুতোর দোকানের মালিক ছিলেন এবং হার্ট সার্জারির উচ্চ খরচ চালানোর সামর্থ্য তার ছিল না। মুছল ও তার বাবা-মা একটি অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে সম্মত হন।
মার্চ ২০০০ সালে, তিনি রাস্তায় বিক্রেতার একটি গাড়িকে এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করেন এবং অস্ত্রোপচারের খরচ হিসাবে ₹৫১,০০০ (ইউএস$১,৬০০) সংগ্রহ করেন। এই ঘটনার প্রচারে, বেঙ্গালুরুবাসী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, দেবী প্রসাদ শেঠী বিনামূল্যে লোকেশের অস্ত্রপোচার করেন। মুছলের বাবা-মা লোকেশের মতো শিশুদের হার্ট সার্জারির জন্য দান দিতে চেয়ে স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেন। এর ফলে ৩৩ জন শিশুর একটি তালিকা পাওয়া যায় যাদের হার্ট সার্জারি দরকার।
ঐ বছরের শেষে অনেকগুলি দাতব্য শো এর আয়োজন করা হয়, যার থেকে ₹২,২৫,০০০ (ইউএস$৭,২০০) সাহায্য ওঠে। এই টাকা বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরের ভান্ডারী হাসপাতালে পাঁচ শিশুর হার্ট সার্জারির জন্য প্রদান করা হয়। শিশুদের জীবন বাঁচাতে মুছলের প্রচেষ্টাকে সাহায্য করার জন্য ইন্দোরের টি. চৈত্রম হাসপাতাল তাদের সার্জারির খরচ অর্ধেক করে দেয়, ₹৮০,০০০ (ইউএস$২,৬০০) থেকে কমিয়ে ₹৪০,০০০ (ইউএস$১,৩০০)। তাদের একজন সার্জন, ধীরাজ গান্ধী, সিদ্ধান্ত নেন, মুছলের আনা শিশুদের সার্জারি তিনি বিনামূল্যে করবেন।

২০০১–২০১০
২য় বাবাসাহেব আম্বেদকর পুরস্কার অনুষ্ঠানে সঞ্জয় খানের সঙ্গে মুছল
২০০০ সাল থেকে, মুছল তার দাতব্য শো এর জন্য ভারতে এবং বিদেশে ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করেছেন, হিন্দি ভাষায় যাকে বলা হয়েছে “দিল সে দিল তক” (“হৃদয় থেকে হৃদয়ে”) এবং ইংরাজি ভাষায় বলা হয় “সেভ লিটল হার্টস”। তার ছোট ভাই, পলাশ, একই শো তে গান করেন শিশুদের জন্য তহবিল যোগাড়ের অভিপ্রায় নিয়ে। তার কিডনির অসুস্থতা আছে।
চিকিৎসকরা মুছলকে অপারেশন থিয়েটারে উপস্থিত থাকতে অনুমতি দেন। হাসপাতালে তার নিজস্ব অস্ত্রোপচার গাউন আছে এবং যখন অস্ত্রপোচার চলে, তখন তিনি ‘ভগবদ্গীতা’ থেকে শ্লোক পাঠ করেন। মুছল এবং তার পিতামাতা দাতব্য শো থেকে কোন আর্থিক সুবিধা পান না। কিন্তু তিনি প্রতি শিশুর জন্য, যার জীবন তিনি তার প্রচেষ্টার মাধ্যমে আরও ভাল করতে সাহায্য করেন, একটি পুতুল পান।
আরও পড়ুনঃ