রহমের বৃষ্টিতে ভিজলো জমিন লিরিক্স | Rohomoter Brishtite Vijlo Jomin Lyrics | জাইমা নূর | Jaima Noor

রহমের বৃষ্টিতে ভিজলো জমিন লিরিক্স : এই সুন্দর ইসলামিক গজলটি গেয়েছেন জাইমা নূর [ Jaima Noor ]। গজলটির কথা লিখেছেন নুরুজ্জামান সাহ [ Nuruzzaman Shah ]।

 

রহমের বৃষ্টিতে ভিজলো জমিন লিরিক্স | Rohomoter Brishtite Vijlo Jomin Lyrics | জাইমা নূর | Jaima Noor
জাইমা নূর [ Jaima Noor ]

রহমের বৃষ্টিতে ভিজলো জমিন লিরিক্স

রহমের বৃষ্টিতে ভিজলো জমিন
হৃদয় সাগরে এলো বারাকার ঢেউ
বুকের উঠোনে নাচে নাজাতের দিন
কি যে সুখ রব ছাড়া বুঝবে না কেউ
কান পাতো শোনো গায় সাত আসমান
খোশ আমদেদ এলো মাহে রমাদান।।
রহমের বৃষ্টিতে ভিজলো জমিন লিরিক্স | Rohomoter Brishtite Vijlo Jomin Lyrics | জাইমা নূর | Jaima Noor
জাইমা নূর [ Jaima Noor ]
এই মাস মালিকের সেরা উপহার
অবহেলা করে তাকে হারাবো না আর
সিয়াম কিয়ামে রবো রত নিশিদিন
ছড়াবো আমল ফুলে খুশবুর ঘ্রাণ।।
এসো করি পাপগুলো পুড়ে পুড়ে ছাই
ফোটাই ঠোঁটের পাড়ে হরফের ফুল
কদরের রাত যদি একবার পাই
মুছে যাবে জীবনের গুনাখাতা ধুল!
এই মাস হেলা করে যদি চলে যায়
তুমি বড় হতোভাগা এই দুনিয়ায়
রোজা রাখো ক্ষমা চাও খুলে আছে দার
তাকাও দু’চোখ মেলে দ্যাখো রাইয়ান।।

বৈশিষ্ট্য

গজল হালকা মেজাজের লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। আবার হালকা-গম্ভীর রসের মিশ্রণে সিক্ত আধ্যাত্মিক গান। গজল প্রেমিক-প্রেমিকার গান হলেও এ গান এমন একটি শৈলী যাতে প্রেম ও ভক্তির অপূর্ব মিলন ঘটেছে। পার্থিব প্রেমের পাশাপাশি গজল গানে আছে অপার্থিব প্রেম, যে প্রেমে স্রষ্টার প্রতি আত্মার আকূতি নিবেদিত। গজল গানে স্রষ্টা আর তার প্রেরিত মহাপুরুষদের প্রতি ভক্তির সঙ্গে মোক্ষ লাভের ইচ্ছা এসে মেলবন্ধন ঘটিয়েছে পার্থিব প্রেমের সঙ্গে।

গজল গান উর্দু ও ফার্সি ভাষায় রচিত এক ধরনের ক্ষুদ্রগীত। আমির খসরু এ গানের স্রষ্টা এবং প্রচারের ক্ষেত্রেও তার অবদান অপরিসীম। তিনি সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজিকে প্রতিরাতে একটি করে গজল শোনাতেন।

গজল গানে কথা বেশি, সুরের প্রাধান্য কম। মূলত হালকা ধরনের গান হলেও সব ধরনের রচনাই এ গানের বিষয়বস্তু হতে পারে। উচ্চভাবপূর্ণ ও গাম্ভীর্যপূর্ণ রচনাও কোন কোন গানে দেখা যায়। এ গানে অনেকগুলো চরণ, কলি বা তুক্ থাকে। প্রথম কলি ‘স্থায়ী’ এবং বাদবাকি কলিগুলো ‘অন্তরা’

গজল ভালো গাইতে হলে ভালো ভাষা-জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। টপ্পা ও ঠুমরির মতো গজল প্রধানত কাফি, পিলু, ঝিঝিট, খাম্বাজ, বারোয়া, ভৈরবী রাগে গাওয়া হয়। গজল গানে একটি বিশেষ আবেদন আছে, তাই এ গান শ্রোতার মনকে রসে আপ্লুত করে তোলে। গজল খুবই জনপ্রিয় গান। সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর, মীর্জা গালিব, দাগ, জওক, আরজু প্রমুখ অনেক কবি অজস্র সুন্দর সুন্দর গজল রচনা করে গেছেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর, সম্রাজ্ঞী নূরজাহান, নবাব ওয়াজেদ আলী শাহর মতো ইতিহাস-প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের রচিত অনেক গজল গানের সন্ধান পাওয়া যায়। বাংলা ভাষায় বেশকিছু গজল রচিত হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা গজল রচনায় পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন।

‘গজল’ শব্দটি আরবি থেকেই চয়িত। এ শব্দের আক্ষরিক অর্থ, প্রেমিকার সঙ্গে কথোপকথন। গজলের পরিভাষায় উল্লেখ হয়েছে, ‘তারুণ্যের পরিস্থিতি বর্ণনা করুন অথবা প্রেমাস্পদের সঙ্গে সংসর্গের উল্লেখ করুন এবং ভালোবাসার চর্চা করুন কিংবা রমণীর সঙ্গে বাক্যালাপ করুন। তাই পরিভাষায় বর্ণিত বিষয়কে অবলম্বন করে গজল রচিত গানকে ‘প্রণয়-সঙ্গীত’ বলেও চিহ্নিত করা হয়। গজল আবার ‘কাব্য-সঙ্গীত’ নামেও পরিচিত। কারণ গজল গানে শৃঙ্গার রস যেমন মিলন আর বিরহের কথা বলে তেমনি তাতে ভক্তির কথাও উচ্চারিত হয়। দু’ধরনের ভাবের অভিব্যক্তি শৃঙ্গার রসে পরিপূর্ণতা আনে।

অন্যদিকে গজল গান রচনায় যে বাণী প্রয়োগ করা হয় তাতে সব ধরনের রসের সমাবেশ দেখা যায়। ফলে গজল গান কাব্যের গুণে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তাই গজল শৃঙ্গার রসাÍক গান হলেও এক ধরনের ‘কাব্য-সঙ্গীত’।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment