মনে করো আমি নেই লিরিক্স | Smaraniyo Adhunik Gaan | Suman Kalyanpur ,,,সুমন কল্যাণপুর (মারাঠি: सुमन कल्याणपूर; জন্ম ২৮ জানুয়ারি ১৯৩৭) হলেন একজন ভারতীয় সংগীতশিল্পী। তিনি ভারত রাষ্ট্রের অতি শ্রদ্ধেয় নেপথ্য গায়িকাদের মধ্যে একজন স্বনমধন্য ব্যক্তি ছিলেন। তার সেই সময়কালে, লতা মঙ্গেশকরের একাধিপত্যের মধ্যেও, প্রায় সমস্ত সংগীতকারের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে গান গেয়ে স্বীকৃতি অর্জনে সফল হয়েছিলেন।
মনে করো আমি নেই লিরিক্স | Mone Koro Ami Nei Lyrics | Suman Kalyanpur
Movie/album: Smaraniyo Adhunik Gaan
Singer(s): Suman Kalyanpur
Cover: Liza
Music: Ratu Mukherjee
Song Lyricist: Pulak Bandyopadhyay
Music Label: Saregama India Ltd
Release On: 8 November 2014

মনে করো আমি নেই লিরিক্স :
মনে করো আমি নেই
বসন্ত এসে গেছে,
কৃষ্ণচূড়ার বন্যায়
চৈতালী ভেসে গেছে।
মনে করো আমি নেই !
শুক্লাতিথীর ওই ছায়াপথে
চলছে নতুন রাত মায়া রথে,
তুমি অবাক চোখে চেয়ে অপলকে
ভাবছো ভাল কে বেসে গেছে।
কৃষ্ণচূড়ার বন্যায়
চৈতালী ভেসে গেছে,
মনে করো আমি নেই ..
যেন মনে লাগে দোলা কি
দোলা লাগে বিনা কারণে,
শুধু মনে কর আমি নেই
যেন মনে লাগে দোলা কি
দোলা লাগে বিনা কারণে
শুধু মনে কর আমি নেই
যেন মনে লাগে দোলা কি।
হঠাৎ খুশীর ওই রঙিন পাখি
হাওয়ায় লেখে তার ডাকাডাকি,
তুমি সেই লগনে ভাবো আপন মনে
এমন হাসি কে হেসে গেছে।
কৃষ্ণচূড়ার বন্যায়
চৈতালী ভেসে গেছে,
মনে করো আমি নেই
বসন্ত এসে গেছে,
কৃষ্ণচূড়ার বন্যায়
চৈতালী ভেসে গেছে।
মনে করো আমি নেই …

Mone Koro Ami Nei Lyrics in English
প্রারম্ভিক জীবন
সুমন কল্যাণপুর ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শঙ্কর রাও হেমাদি কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোর শহরের এক বনেদি সারস্বত ব্রাহ্মণ পরিবার থেকে এসেছিলেন। কর্ণাটকের উদুপি জেলার কুন্দপুর তালুকের একটা গ্রাম হল হেমাদি। তিনি সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এক উঁচু পোস্টে চাকরি করতেন এবং দীর্ঘদিন ধরে অধুনা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নিয়োজিত ছিলেন।

সেখানে তার পিতা এবং মাতা সীমা হেমাদি ছাড়াও তারা পাঁচ বোন এবং এক ভাই ছিলেন; সুমন তার ভাইবোনেদের মধ্যে সকলের বড়ো ছিলেন। তিনি একজন স্বনামধন্য ভারতীয় গায়িকা। তার পরিবার ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে মুম্বই শহরে চলে যান, যেখানে তিনি সংগীতের তালিম নিয়েছিলেন।

সুমন কল্যাণপুর সব সময় ছবি আঁকা এবং সংগীতে অনুরক্ত ছিলেন। মুম্বইয়ের বিখ্যাত কলম্বিয়া হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ছবি আঁকার পরবর্তী পাঠ নিতে মর্যাদাপূর্ণ স্যর জে জে স্কুল অফ আর্টসে ভরতি হয়েছিলেন। একই সঙ্গে পুণের প্রভাত ফিল্মের সংগীত পরিচালক এবং তাদের একজন পারিবারিক বন্ধু ‘পণ্ডিত কেশব রাও ভোলে’জির কাছে উচ্চাঙ্গ কণ্ঠ সংগীতে তালিম নিয়েছিলন।

সুমনের মত অনুযায়ী, প্রথমদিকে গান গাওয়াটা ছিল তার কাছে একটা শখ, কিন্তু ক্রমে ক্রমে সংগীতের ওপর তার অনুরাগ বেড়ে যায়, আর এর ফলস্বরূপ তিনি পেশাদারিত্বের সঙ্গে ‘উস্তাদ খান আবদুল রহমান খান’ এবং ‘গুরুজি মাস্টার নবরং’ এঁদের কাছে সংগীত শিক্ষা করতে আরম্ভ করেছিলেন।