যদি রাত পোহালে শোনা যেতো লিরিক্স | সাবিনা ইয়াসমিন (জন্ম: ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪) একজন বাংলাদেশি নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি তিনি দেশাত্মবোধক গান থেকে শুরু করে উচ্চাঙ্গ, ধ্রুপদী, লোকসঙ্গীত ও আধুনিক বাংলা গানসহ বিভিন্ন ধারার নানান আঙ্গিকের সুরে গান গেয়ে নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
যদি রাত পোহালে শোনা যেতো লিরিক্স | Jodi Rat Pohalei Sona Jeto Lyrics | সাবিনা ইয়াসমিন
শিল্পীঃ সাবিনা ইয়াসমিন
গীতিকার : হাসান মতিউর রহমান
সুরকারঃ মলয় কুমার গঙ্গোপাধ্যায়

যদি রাত পোহালে শোনা যেতো লিরিক্স :
যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধু মরে নাই!
যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো
বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই,
মুক্তি চাই, মুক্তি চাই।
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা।
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা।
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা।
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা।
যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধু মরে নাই!
যে মানুষ ভীরু কাপুরুষের মতো,
করে নি কো কখনও মাথা নত।
যে মানুষ ভীরু কাপুরুষের মতো,
করে নি কো কখনও মাথা নত।
এনে দিল হায়েনার ছোবল থেকে,
আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা,
স্বাধীনতা, স্বাধীনতা।
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা।
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা।
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা।
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা।

যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধু মরে নাই!
কে আছে বাঙ্গালি তার সমতুল্য?
ইতিহাস একদিন দেবে তার মূল্য।
কে আছে বাঙ্গালি তার সমতুল্য?
ইতিহাস একদিন দেবে তার মূল্য।
সত্যকে মিথ্যার আড়াল করে
যায় কি রাখা কখনও তা,
কখনও তা, কখনও তা?
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা।
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা।
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা।
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা।
যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধু মরে নাই!
যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো
বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই,
মুক্তি চাই, মুক্তি চাই।
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা।
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা।
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা।
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা।
যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধুমরে নাই!
প্রারম্ভিক জীবন:
সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৫৪ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা লুতফর রহমান ব্রিটিশ রাজের অধীনে সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং মাতা বেগম মৌলুদা খাতুন। পৈতৃক বাড়ি সাতক্ষীরায়। তার পাঁচ বোনের মাঝে চার বোনই সঙ্গীতের সাথে যুক্ত। তারা হলেন ফরিদা, ফৌজিয়া, নীলুফার এবং সাবিনা ইয়াসমিন। তার আরেক বোন নাজমা ইয়াসমিন। তার ভগ্নীপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা, সুরকার খান আতাউর রহমান এবং তার ভাগ্নে সঙ্গীতশিল্পী আগুন।
সাবিনা তার বাবার চাকরির সূত্রে নারায়ণগঞ্জে বেড়ে ওঠেন। শৈশব থেকে তিনি গানের পরিবেশে বেড়ে ওঠেছেন। তার বাবা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতেন। তার মা মুর্শিদাবাদে সে সময়ের প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ও ওস্তাদ কাদের বক্সের কাছে গান শিখতেন। তার বড় বোন ফরিদা ও ফৌজিয়া দুর্গাপ্রসাদ রায়ের কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিখতেন। তিনি ও নীলুফার তাদের সাথে বসতেন।

তার মা তাকে তালিমে সহায়তা করতেন এবং হারমোনিয়াম বাজিয়ে সঙ্গ দিতেন। হারমোনিয়াম বাজিয়ে তার শেখা প্রথম গান ছিল “খোকন মনি সোনা”। এছাড়া মায়ের কাছ থেকে তিনি সুপ্রীতি ঘোষের কয়েকটি গান শিখেন। মাত্র সাত বছর বয়সে তিনি প্রথম মঞ্চে গান করেন। পরবর্তীকালে ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে একটানা ১৩ বছর গানের শাস্ত্রীয় গানের তালিম নিয়েছেন।