বাবা মানে হাজার বিকেল লিরিক্স | baba mane hajar bikel lyrics | তাসনিম সাদিয়া

বাবা মানে হাজার বিকেল লিরিক্স | গজল গানের কলিগুলোর অর্থ প্রায়ই দ্ব্যর্থবোধক। প্রেম যখন পুরুষ বা নারীর প্রতি নিবেদিত হয় তখন সে গজল মানব-প্রেম বা পার্থিব-প্রেম, আবার প্রেম যখন স্রষ্টার উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় তখন তা আধ্যাত্মিক প্রেম। তাই গজল গান এক ধরনের ‘ভাব-সঙ্গীত’ বলেও পরিচিত।

বাবা মানে হাজার বিকেল লিরিক্স | baba mane hajar bikel lyrics | তাসনিম সাদিয়া

কন্ঠশিল্পীঃ জাইমা নূর

 

বাবা মানে হাজার বিকেল লিরিক্স | baba mane hajar bikel | তাসনিম সাদিয়া
জাইমা নূর

 

বাবা মানে হাজার বিকেল

আমার ছেলে বেলা

বাবা মানে রোজ সকালে

পুতুল পুতুল খেলা

বাবা মানে কাটছে ভালো

যাচ্ছে ভালো দিন

বাবা মানে জমিয়ে রাখা

আমার অনেক ঋণ

আমি যতই এলোমেলো ভুলের অভিধান

বাবা তুমি সময় মত সহজ সমাধান

 জীবনের টানাপোড়েন কিছুই না জানি

আমার গানের স্বরলিপি তোমার মাঝেই খুঁজি

বাবার কাছে হইনা কাল আমি কোনদিনই

বাবা ডাকে আদর করে আমায় সোনামণি

 

জাইমা নূরবাবা মানে হাজার বিকেল লিরিক্স | baba mane hajar bikel | তাসনিম সাদিয়া

 

বাবা মানে অনেক চাওয়া বাবা মানে অনেক পাওয়া

বাবা মানে ছোট্ট শূন্যতা বাবা মানে অনেক পূর্ণতা

ছেলেবেলা হাতছানি দেয় আজও সকাল সাঝে

 আমি বড় হইনি আজ বাবা তোমার কাছে

 চিরদিন থাকবে বলো তুমি আমার সাথে

 মা বলে ডাকবে বল সারা জীবন ধরে

 বেলা শেষে তুমি আজও অনেক অভিমানে

 কেউ না জানুক আমি জানি তোমার সোনামণি

 

 

গজল :

গান উর্দু ও ফার্সি ভাষায় রচিত এক ধরনের ক্ষুদ্রগীত। আমির খসরু এ গানের স্রষ্টা এবং প্রচারের ক্ষেত্রেও তার অবদান অপরিসীম। তিনি সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজিকে প্রতিরাতে একটি করে গজল শোনাতেন।

গজল গানে কথা বেশি, সুরের প্রাধান্য কম। মূলত হালকা ধরনের গান হলেও সব ধরনের রচনাই এ গানের বিষয়বস্তু হতে পারে। উচ্চভাবপূর্ণ ও গাম্ভীর্যপূর্ণ রচনাও কোন কোন গানে দেখা যায়। এ গানে অনেকগুলো চরণ, কলি বা তুক্ থাকে। প্রথম কলি ‘স্থায়ী’ এবং বাদবাকি কলিগুলো ‘অন্তরা’

গজল ভালো গাইতে হলে ভালো ভাষা-জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। টপ্পা ও ঠুমরির মতো গজল প্রধানত কাফি, পিলু, ঝিঝিট, খাম্বাজ, বারোয়া, ভৈরবী রাগে গাওয়া হয়। গজল গানে একটি বিশেষ আবেদন আছে, তাই এ গান শ্রোতার মনকে রসে আপ্লুত করে তোলে। গজল খুবই জনপ্রিয় গান। সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর, মীর্জা গালিব, দাগ, জওক, আরজু প্রমুখ অনেক কবি অজস্র সুন্দর সুন্দর গজল রচনা করে গেছেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর, সম্রাজ্ঞী নূরজাহান, নবাব ওয়াজেদ আলী শাহর মতো ইতিহাস-প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের রচিত অনেক গজল গানের সন্ধান পাওয়া যায়। বাংলা ভাষায় বেশকিছু গজল রচিত হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা গজল রচনায় পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন।

 

Google News
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

‘গজল’ শব্দটি আরবি থেকেই চয়িত। এ শব্দের আক্ষরিক অর্থ, প্রেমিকার সঙ্গে কথোপকথন। গজলের পরিভাষায় উল্লেখ হয়েছে, ‘তারুণ্যের পরিস্থিতি বর্ণনা করুন অথবা প্রেমাস্পদের সঙ্গে সংসর্গের উল্লেখ করুন এবং ভালোবাসার চর্চা করুন কিংবা রমণীর সঙ্গে বাক্যালাপ করুন। তাই পরিভাষায় বর্ণিত বিষয়কে অবলম্বন করে গজল রচিত গানকে ‘প্রণয়-সঙ্গীত’ বলেও চিহ্নিত করা হয়। গজল আবার ‘কাব্য-সঙ্গীত’ নামেও পরিচিত।

কারণ গজল গানে শৃঙ্গার রস যেমন মিলন আর বিরহের কথা বলে তেমনি তাতে ভক্তির কথাও উচ্চারিত হয়। দু’ধরনের ভাবের অভিব্যক্তি শৃঙ্গার রসে পরিপূর্ণতা আনে। অন্যদিকে গজল গান রচনায় যে বাণী প্রয়োগ করা হয় তাতে সব ধরনের রসের সমাবেশ দেখা যায়। ফলে গজল গান কাব্যের গুণে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তাই গজল শৃঙ্গার রসাÍক গান হলেও এক ধরনের ‘কাব্য-সঙ্গীত’।

Leave a Comment