এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় লিরিক্স | গীতা দত্ত (জন্ম: ২৩ নভেম্বর ১৯৩০ – মৃত্যু: ২০ জুলাই ১৯৭২) একজন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী। তিনি মূলত ১৯৫০ এবং ১৯৬০এর দশকে হিন্দি ছবিতে নেপথ্য সঙ্গীত এবং বাংলা আধুনিক গান গাওয়ার জন্য বিখ্যাত।
এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় লিরিক্স | Ei Sundar Swarnali Sandhyay Lyrics | Geeta Dutt | গীতা দত্ত
Film Name : Hospital
Singer : Geeta Dutt
Music : Amal Mukherjee
Lyrics : Gauriprasanna Mazumder
এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় লিরিক্স :
এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়
একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু (x2)
কোন রক্তিমা পলাশের স্বপ্ন
মোর অন্তরে ছড়ালে গো বন্ধু
এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়
একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু
আমলকি পেয়ালের কুঞ্জে
কিছু মৌমাছি এখনো যে গুঞ্জে (x2)
বুঝি সেই সুরে আমারে ভরালে গো বন্ধু
এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়
একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু
বাতাসের কথা সে তো কথা নয়
রূপ কথা ঝদি তার বাঁশিতে
আমাদেরও মুখে কোন কথা নেই
শুধু দুটি আঁখি পরে রাখে হাসিতে
বাতাসের কথা সে তো কথা নয়
রূপ কথা ঝরে তার বাঁশিতে
আমাদেরও মুখে কোন কথা নেই
শুধু দুটি আঁখি পরে রাখি হাসিতে
কিছু পরে দূরে তারা জ্বলবে
হয়তো তখন তুমি বলবে (x2)
জানি মালা কেন গলে পরালে গো বন্ধু
এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়
একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু
কোন রক্তিমা পলাশের স্বপ্ন
মোর অন্তরে ছড়ালে গো বন্ধু
এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়
একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু
Ei Sundar Swarnali Sandhyay Lyrics :
Ei Sundar Swarnali Sandhay
Eki Bondhone Jorale Go Bandhu
Kon Raktimo Polasher Swapno
Mor Ontore Choralo Go Bandhu
Ei Sundar Swarnali Sandhyay
Eki Bondhone Jorale Go Bondhu
Amloki Piyaler Kunjey
Kichu Mou Machi Ekhono Je Gunje
Bujhi Shei Shure Amare Bhorale Go Bondhu
Batasher Kotha Shey To Kotha Noy
Rupkotha Jhore Taar Banshite
Amader Mukhe Kono Kotha Nei
Sudhu Duti-Ankhi Bhore Rakhi Hashite
Kichu Pore Dure Tara Jwolbe
Hoyto Takhon Tumi Bolbe
Jaani Mala Keno Goley Porale Go Bandhu
জন্ম ও পরিবার:
গীতা দত্ত ১৯৩০ সালের ২৩ নভেম্বর তৎকালীন ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর মহকুমার ইদিলপুরের একটি ধনী জমিদার পরিবারে (বর্তমান বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট) জন্মগ্রহণ করেন। পরিচালক, অভিনেতা গুরু দত্তের সাথে বিয়ের আগে তার নাম ছিল গীতা ঘোষ রায়চৌধুরী। বিয়ের আগে গীতা রায় নামে সুপরিচিত ছিলেন। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তার বাবা মার সাথে বোম্বের দাদারে একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে আরম্ভ করেন।
সঙ্গীত জীবন:
গীতা যখন বারো বছর বয়েসী ছিলেন । সুরকার হনুমান প্রসাদ একবার গীতার গান শুনে মুগ্ধ হন । তিনি ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে গীতাকে ভক্ত প্রহলাদ নামের একটি চলচ্চিত্রে প্রথম গান গাওয়ার সুযোগ দেন । এই ছবিতে গীতা কোরাসে মাত্র দুই লাইন গান গেয়েছিলেন কিন্তু তার মধ্যেই তার কৃতিত্ব ফুটে উঠেছিল। পরের বছরে গীতা নেপথ্যগায়িকা হিসাবে দো ভাই ছবিতে কাজ পান । এবং এই ছবিতে তার গান হিন্দি ছবির জগতে গায়িকা হিসাবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করে।
প্রথম দিকে গীতা ভজন এবং দুঃখের গান গাওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন। ১৯৫১ সালে শচীন দেববর্মণের সুরে বাজি চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান তার সঙ্গীতজীবনে নতুন দিক আনে। তার কণ্ঠস্বরের যৌনতা এবং পাশ্চাত্য সুরে সহজে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতার জন্য ১৯৫০এর দশকে লাস্যময়ী এবং ডান্স ক্লাবের গানে তাকে প্রথম পছন্দ করে তোলে।শচীন দেববর্মন দো ভাই ছবিতে গীতার কণ্ঠের জাদু প্রথম ফুটিয়ে তুলেছিলেন।

তিনি গীতার কণ্ঠের বাঙালি টানকে সুন্দর ভাবে ব্যবহার করেছিলেন দেবদাস (১৯৫৫) এবং পেয়াসা(১৯৫৭) ছবিতে। পেয়াসা ছবিতে আজ সাজন মুঝে অঙ্গ লাগা লে বাঙালি কীর্তন গানকে গীতা সফল ভাবে হিন্দিতে গেয়েছিলেন। শচীনদেব বর্মনের সুরকার হিসাবে শুরুর দিকের গানগুলিকে গায়িকাদের ভিতরে গীতাই সবথেকে ভালভাবে গেয়েছিলেন। ও পি নাইয়ারের সুরে গীতা সব ধরনের গানেই পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন।
তিনি এবং লতা মঙ্গেশকর ১৯৫০এর দশকে দুই প্রধান নেপথ্যসঙ্গীত গায়িকা ছিলেন।হিন্দি গান ছাড়াও গীতা দত্ত গুজরাটি ছবিতেও প্রধান নেপথ্য গায়িকা ছিলেন। তিনি গুজরাটি ভাষায় বিখ্যাত সুরকার অবিনাশ ব্যাসের সুরে বেশ কিছু গান গেয়েছিলেন। ১৯৫০ দশকের শেষ এবং ১৯৬০এর দশকের শুরুতে গীতা বেশ কিছু বিখ্যাত বাংলা গান গায়। এই সময়ে বাংলা ছবি এবং সঙ্গীতের জগৎতে স্বর্ণযুগ চলছিল । তার বেশিরভাগ বাংলা গানেরই সুরকার ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় তবে তিনি নচিকেতা ঘোষ এবং সুধীন দাশগুপ্তের সুরেও কিছু গান গেয়েছিলেন।