তিন পাগলে হলো লিরিক্স ।Tin Pagole Holo Mela Lyrics | Fakir Lalon Shah

তিন পাগলে হলো লিরিক্স | লালনের জীবন সম্পর্কে বিশদ কোনো বিবরণ পাওয়া যায় না। তার সবচেয়ে অবিকৃত তথ্যসূত্র তার নিজের রচিত ২৮৮টি গান। কিন্তু লালনের কোনো গানে তার জীবন সম্পর্কে কোনো তথ্য তিনি রেখে যাননি, তবে কয়েকটি গানে তিনি নিজেকে “লালন ফকির” হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। তার মৃত্যুর পনেরো দিন পর কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিতকরী পত্রিকার সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়, “ইহার জীবনী লিখিবার কোন উপকরণ পাওয়া কঠিন। নিজে কিছু বলিতেন না। শিষ্যরা তাঁহার নিষেধক্রমে বা অজ্ঞতাবশত কিছুই বলিতে পারে না।”

 

তিন পাগলে হলো লিরিক্স ।Tin Pagole Holo Mela Lyrics | Fakir Lalon Shah
তিন পাগলে হলো লিরিক্স ।Tin Pagole Holo Mela Lyrics | Fakir Lalon Shah

 

তিন পাগলে হলো লিরিক্স ।Tin Pagole Holo Mela Lyrics | Fakir Lalon Shah

Lyrics : Fakir Lalon Shah

তিন পাগলে হলো মেলা

তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
ওরে মন নদে এসে…
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে,
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে।
তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
ওরে মন নদে এসে…
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে,
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে।
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে…
একটা পাগলামি করে
জাত দেয় সে অজাতেরে দৌড়ে গিয়ে,
একটা পাগলামি করে
জাত দেয় সে অজাতেরে দৌড়ে গিয়ে।
আবার হরি বলে পড়ছে ঢলে
ধূলার মাঝে,
হরি বলে পড়ছে ঢলে
ধূলার মাঝে।
ওরে মন ধূলার মাঝে…
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে…
তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
ওরে মন নদে এসে…
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে,
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে।
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে…
একটা নারকেলের মালা
তাতে জল তোলা ফেলা করঙ্গ সে,
একটা নারকেলের মালা
তাতে জল তোলা ফেলা করঙ্গ সে।
পাগলের সঙ্গে যাবি পাগল হবি
বুঝবি শেষে
পাগলের সঙ্গে যাবি পাগল হবি
বুঝবি শেষে।
ওরে বুঝবি শেষে
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে…
তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
ওরে মন নদে এসে…
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে,
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে।
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে…
পাগলের নামটি এমন,
বলিতে ফকির লালন হয় তরাসে
পাগলের নামটি এমন,
বলিতে ফকির লালন হয় তরাসে।
চৈতে নিতে অদ্বৈ পাগল
নাম ধরে সে
চৈতে নিতে অদ্বৈ পাগল
নাম ধরে সে ।।
ওরে মন নাম ধরে সে
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে…
তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
ওরে মন নদে এসে…
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে,
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে।
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে…
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে…..

লালনের: জন্ম কোথায় তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। লালন নিজে কখনো তা প্রকাশ করেননি। কিছু সূত্রে পাওয়া যায় লালন ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার  বর্তমান বাংলাদেশের) ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার হারিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কোনো কোনো লালন গবেষক মনে করেন, লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার চাপড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত ভাড়ারা গ্রামে জন্মেছিলেন।

এই মতের সাথেও অনেকে দ্বিমত পোষণ করেন। বাংলা ১৩৪৮ সালের আষাঢ় মাসে প্রকাশিত মাসিক মোহম্মদী পত্রিকায় এক প্রবন্ধে লালনের জন্ম যশোর জেলার ফুলবাড়ি গ্রামে বলে উল্লেখ করা হয়। একসূত্র থেকে জানা যায়, তার পিতার নাম কাজী দরীবুল্লাহ্ দেওয়ান।[পিতামহের নাম কাজী গোলাম কাদির ও মাতার নাম আমিনা খাতুন। কাজী তাদের বংশগত উপাধি।

 

Google News
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

গবেষকদের ধারণা, লালন শাহের আরো দুই ভাই ছিলেন। আলম শাহ্ ও কলম শাহ্।  আলম শাহ্ কলকাতা শ্রমিকের কাজ করেন। আরেক তথ্য থেকে জানা যায়, তারা চার ভাই: আলম শাহ্, কলম শাহ্, চলম শাহ্ ও লালন শাহ্। চলম শাহ নামে ভাই ছিল না বলে মনে করা হলেও মলম শাহ্ নামে আরেক ভাই ছিলেন। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে আলম ও মলম মৃত্যুমুখে পতিত হন। লালন ফকির জীবকা জন্য হরিশপুরের দক্ষিণ পাড়ার ইনু কাজীর বাড়ি আশ্রয় নেন।

হিতকরী পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নিবন্ধে বলা হয়েছে, লালন তরুণ বয়সে একবার তীর্থভ্রমণে বের হয়ে পথিমধ্যে গুটিবসন্ত রোগে আক্রান্ত হন। তখন তার সাথীরা তাকে মৃত ভেবে পরিত্যাগ করে যার যার গন্তব্যে চলে যায়। কালিগঙ্গা নদীতে ভেসে আসা মুমূর্ষু লালনকে উদ্ধার করেন মলম শাহ। মলম শাহ ও তার স্ত্রী মতিজান তাকে বাড়িতে নিয়ে সেবা-শুশ্রূষা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন। এরপর লালন তার কাছে দীক্ষিত হন এবং কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়াতে স্ত্রী ও শিষ্যসহ বসবাস শুরু করেন। গুটিবসন্ত রোগে একটি চোখ হারান লালন। ছেউড়িয়াতে তিনি দার্শনিক গায়ক সিরাজ সাঁইয়ের সাক্ষাতে আসেন এবং তার দ্বারা প্রভাবিত হন।

এছাড়া লালন সংসারী ছিলেন বলে জানা যায়। তার সামান্য কিছু জমি ও ঘরবাড়ি ছিল।লালন অশ্বারোহণে দক্ষ ছিলেন এবং বৃদ্ধ বয়সে অশ্বারোহণের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে যেতেন।

 

তিন পাগলে হলো মেলা লিরিক্স ।Tin Pagole Holo Mela | Fakir Lalon Shah
লালন শাহ্‌

 

লালনের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে গবেষকদের মাঝে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে, যা তার জীবদ্দশায়ও বিদ্যমান ছিল। তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত প্রবাসী পত্রিকার মহাত্মা লালন নিবন্ধে প্রথম লালন জীবনী রচয়িতা বসন্ত কুমার পাল বলেছেন, “সাঁইজি হিন্দু কি মুসলমান, এ কথা আমিও স্থির বলিতে অক্ষম।”বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় লালনের জীবদ্দশায় তাকে কোনো ধরনের ধর্মীয় রীতি-নীতি পালন করতেও দেখা যায়নি। লালনের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। নিজ সাধনাবলে তিনি হিন্দুধর্ম এবং ইসলামধর্ম উভয় শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment