বাওকুমটা বাতাস যেমন লিরিক্স | রবীন্দ্রসঙ্গীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত ও সুরারোপিত গান। বাংলা সংগীতের জগতে এই গানগুলি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকারী। রবীন্দ্রনাথের জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত। এছাড়া ভারতের জাতীয় স্তোত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম্ গানটিতে রবীন্দ্রনাথই সুরারোপ করেছিলেন।
বাওকুমটা বাতাস যেমন লিরিক্স | bawkumra batash jemon lyrics | রবীন্দ্র সংগীত
কন্ঠ শিল্পী রথীন্দ্রনাথ
বাওকুমটা বাতাস যেমন লিরিক্স :
হুরুরুরু….হাট হাট
আরে.ডাইনে চল.ডাইনে চল.ডাইনে চল
আরে বাওকুমটা বাতাস যেমন
ঘুরিয়া ঘুরিয়া মরে………এ..
কি ও..রে
ওই মতন মোর গাড়ির চাকা পন্থে
পন্তে গুরে..রে..
ওকি গাড়িয়াল মুই চলঙ রাজপন্থে…
আরে বাওকুমটা বাতাস যেমন
ঘুরিয়া ঘুরিয়া মরে…..এ..
ও কি ও..রে
ওই মতন মোর গাড়ির চাকা পন্থে
পন্তে গুরে..রে..
ওকি গাড়িয়াল মুই চলঙ রাজপন্থে…
ওকি গাড়িয়াল মুই চলঙ রাজপন্থে…
ওরে বিয়ানে উটিয়া গরু
গাড়িত দিয়া জুড়ি……..ই..
ওরে বিয়ানে উটিয়া গরু
গাড়িত দিয়া জুড়ি…..ই..
ও কি ও..রে
সোনা বালা সোনার বাদে চান্দে
দেশে ঘুরি..রে..
ওকি গাড়িয়াল মুই চলঙ রাজপন্থে…
ওকি গাড়িয়াল মুই চলঙ রাজপন্থে…
আরে গাড়ির চাকা ঘোরে আরো
মধ্যে করে রা……..ও…
আরে গাড়ির চাকা ঘোরে আরো
মধ্যে করে রা….ও..
কি ও..রে
ওই মতন চমকিয়া উঠে আমার
সর্ব গাওরে..
ওকি গাড়িয়াল মুই চলঙ রাজপন্থে…
ওকি গাড়িয়াল মুই চলঙ রাজপন্থে…
ওরে দেশ বিদেশে বেড়াঙ রে মুই
সোনার সোনা বাদে……..এ..
ওরে দেশ বিদেশে বেড়াঙ রে মুই
সোনার সোনা বাদে….এ..
ও কি ও..রে
সে ও সোনা অবশেষে ঘরত
বসি কান্দে রে..
ওকি গাড়িয়াল মুই চলঙ রাজপন্থে…
ওকি গাড়িয়াল মুই চলঙ রাজপন্থে…
আরে বাওকুমটা বাতাস যেমন
ঘুরিয়া ঘুরিয়া মরে……….এ..
কি ও..রে
ওই মতন মোর গাড়ির চাকা পন্থে
পন্তে গুরে..রে..
ওকি গাড়িয়াল মুই চলঙ রাজপন্থে…
ওকি গাড়িয়াল মুই চলঙ রাজপন্থে…
ওকি গাড়িয়াল মুই চলঙ রাজপন্থে…

কবি পরিচিতি :
রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় অন্যের সুরারোপিত গানগুলিকে ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বর্গভুক্ত করা হয় না। এই কারণে জনপ্রিয় ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ (সুরকার: পঙ্কজকুমার মল্লিক) গানটিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত পর্যায়ভুক্ত করা হয়নি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২। তার গানের কথায় উপনিষদ্, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।
উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। এই খণ্ডে প্রকাশিত গানগুলি ‘গীতিনাট্য’, ‘নৃত্যনাট্য’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, ‘নাট্যগীতি’, ‘জাতীয় সংগীত’, ‘পূজা ও প্রার্থনা’, ‘আনুষ্ঠানিক সংগীত, ‘প্রেম ও প্রকৃতি’ ইত্যাদি পর্যায়ে বিন্যস্ত। ৬৪ খণ্ডে প্রকাশিত স্বরবিতান গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় গানের স্বরলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে সঙ্গীতচর্চার ব্যাপক প্রচলন ছিল। রবীন্দ্রনাথের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য দাদারা নিয়মিত সংগীতচর্চা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে করতেন। কিশোর বয়সে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গীতশিক্ষায় সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। এগারো বছর বয়সে লেখা ‘গগনের থালে রবি চন্দ্র দীপক জ্বলে’ গানটি সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক রচিত প্রথম গান।এরপর প্রায় ৭০ বছর ধরে তিনি নিয়মিত গান রচনা করে গিয়েছিলেন।
আরও দেখুনঃ
- তোমার খোলা হাওয়া লিরিক্স | tomar khola hauwa lyrics | রবীন্দ্র সংগীত
- বাতাসে স্পর্শ লিরিক্স | Batashe Sporsho Lyrics | Ujjaini Mukherjee | Deborshee Bhattacharjee
- অভিমানে চলে যেও না লিরিক্স | Abhimane Chole Jeo Na | Manna Dey
- ছন্নছাড়া লিরিক্স | chonno chara lyrics | অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত | kobita
- বুকে ধরে যত ফুল ফোটালাম লিরিক্স | Buke dhore jto ful fotalam lyrics | Khalid Hasan Milu