একা আকাশের তারা তুই লিরিক্স | আইয়ুব বাচ্চু (১৬ আগস্ট ১৯৬২ – ১৮ অক্টোবর ২০১৮) একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতজ্ঞ, গায়ক-গীতিকার এবং গীটারবাদক ছিলেন। তিনি রক ব্যান্ড এল আর বি এর গায়ক ও গীটারবাদক হিসেবে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন।
একা আকাশের তারা তুই লিরিক্স | Ek akasher tara tui lyrics | Ayub Bachchu | Lrb

একা আকাশের তারা তুই লিরিক্স :

Ek akasher tara tui lyrics in english :
আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গীতজীবন
১৯৭৭-১৯৮০: ফিলিংস ও সোলস
১৯৭৭ সালে তার নিজের ব্যান্ডে কাজ করার পাশাপাশি সে ফিলিংস নামের একটি রক ব্যান্ডে যোগ দেন গিটার বাদক হিসেবে, যেখানে তিনি কাজ করেছিলেন জেমস এর সঙ্গে। জেমস বলেছিল, সে বাচ্চুকে একটি চায়ের দোকানে গিটার বাজাতে দেখেছিল এবং বাচ্চুর গিটার বাজানো দেখেই সে তাকে ফিলিংসে যোগ করতে বলেন। বাচ্চু তার কথায় রাজি হয়ে যান এবং পরবর্তী তিন বছর, ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ওই ব্যান্ডে কাজ করেন। ১৯৮০ সালে সোলসের গিটার বাদক সাজেদ উল আলম উচ্চশিক্ষার জন্যে আমেরিকায় চলে যায়।
একরাতে যখন ফিলিংস চট্টগ্রামের একটি ক্লাবে অনুষ্ঠান করছিল, তখন সেখানে উপস্থিত ছিল সোলস ব্যান্ডের নকীব খান। বাচ্চুর গিটার বাজানো দেখে সে মুগ্ধ হয়ে যায় এবং সোলসের গায়ক তপন চৌধুরী কে বাচ্চুর ব্যপারে বলেন। পরদিন রাতে তারা ফিলিংস এর অনুষ্ঠান দেখতে আসে এবং বাচ্চুকে সোলসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বলেন।
বাচ্চু একই বছরের মাঝামাঝি সময়ে “আগলি বয়েজ” এর গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ এর সাথে যোগ দেন। পরবর্তী দশ বছর সে সোলস এর মূল গিটার বাদক, গীতিকার এবং গায়ক (অনিয়মিত) হিসেবে কাজ করে। সে সোলসের সাথে চারটি অ্যালবামে কাজ করেছিল: সুপার সোলস (১৯৮২) যা ছিল বাংলাদেশের প্রথম গানের অ্যালবাম, কলেজের করিডোরে (১৯৮৫), মানুষ মাটির কাছাকাছি (১৯৮৭) এই অ্যালবামটিতেই বাচ্চুর সোলসের হয়ে গাওয়া প্রথম গান “হারানো বিকেলের গল্প” প্রকাশ পায়।
সোলসের সাথে তার শেষ অ্যালবামটি ছিল ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট, যা প্রকাশ পেয়েছিল ১৯৮৮ সালে। ১৯৯০ সালের শেষের দিকে বাচ্চু ব্যান্ডটি ছেড়ে নিজের ব্যান্ড লিটল রিভার ব্যান্ড গঠন করেন, যা পরবর্তী সময়ে লাভ রানস ব্লাইন্ড বা সংক্ষেপে এল আর বি নামে জনপ্রিয়তা লাভ করে। সোলস ত্যাগ করার পরেও বাচ্চু বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তপন চৌধুরী, নকিব খান এবং কুমার বিশ্বজিৎ এর সাথে অনুষ্ঠান করেছে। ২০১২ সালে বাচ্চু দ্য ডেইলি স্টার কে বলেছিল:
আমি সোলস ত্যাগ করেছি কেননা আমার সাথে তাদের পার্থক্য ছিল। তারা একধরনের গান করতে পছন্দ করতো আর আমি আরেকধরনের গান করতে পছন্দ করতাম। আমার পছন্দ ছিল উচু আওয়াজের, বেশি রকিং গিটারের গান। আর বাকিদের পছন্দ ছিল শান্ত, সুমধুর গান। আপনি দিনের পর দিন শুধু আপোস করতে পারবেন না। আমাদের মাঝে তেমন একটা বড় ধরনের ঝগড়া হয় নি কোনোদিন। আমার মনে হয়েছিল যে, আমি নিজের মতো গান করলে ভালোই হবে।
১৯৯১-২০১৮: এল আর বি

১৯৯০ এর দশকের শেষদিকে বাচ্চু সোলস থেকে বের হয়ে আসার পর ১৯৯১ সালে তিনি ঢাকায় আসেন এবং জানুয়ারিতে ফেরদৌস চন্দনার সাথে বিয়ে করেন, যার সাথে তার ১৯৮৬ সাল থেকে সম্পর্ক ছিল। তিনি ‘”ইয়েলো রিভার ব্যান্ড”‘ নামের একটি ব্যান্ড গঠন করেন ৫ এপ্রিল ১৯৯১ সালে, এস আই টুটুল (কীবোর্ডস), সাইদুল হাসান স্বপন (বেজ গিটার) এবং হাবিব আনোয়ার জয় (ড্রামস)। ১৯৯১ সালের মাঝামাঝি সময়ে তারা ভারতে অনুষ্ঠান করতে গেলে তাদের ভুলে “লিটল রিভার ব্যান্ড” নামে পরিচিত করানে হয়।
নামটি বাচ্চু পছন্দ করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তার ব্যান্ড নামকরণ করে। ১৯৯১ সালের এপ্রিল মাসে, এলআরবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের প্রথম কনসার্টটি করে। কনসার্টটি বামবা দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, যা স্বৈরাচারী নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর পতনের উদ্যাপন করেছিল। ১৯৯২ সালের জানুয়ারি মাসে, তারা বাংলাদেশে প্রথম ডাবল অ্যালবাম: এলআরবি ১ এবং এলআরবি ২ প্রকাশ করেছিল। ব্যান্ডটির তৃতীয় স্টুডিও অ্যালবাম সুখ, জুনে মুক্তি পায় এবং এটি বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ রক অ্যালবামগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।
এতে “চলো বদলে যাই” গানটি ছিল যা বাচ্চুর সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ হিসাবে বিবেচিত। তারা ১৯৯০ এর দশকে আরও কয়েকটি অ্যালবাম প্রকাশ করে এবং শীঘ্রই বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রক ব্যান্ডের মধ্যে একটি হয়ে ওঠে। ১৯৯৬ সালে, তারা ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠান করেছিল, যা বাংলাদেশের বাইরে তাদের প্রথম কনসার্ট ছিল। এলআরবি নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন অনুষ্ঠান করা একমাত্র বাংলাদেশী ব্যান্ড।
বাচ্চুর মৃত্যুর পর, এলআরবির অন্যান্য সদস্যদের বালাম জাহাঙ্গীর কে তাদের নতুন গায়ক হিসাবে ঘোষণা করেন। বাচুর স্ত্রী এবং মেয়ে এলআরবির নামে নতুন গায়কের সাথে এবং ব্যান্ড সদস্যদের সদস্যদের সন্তুষ্ট ছিল না। তারা ব্যান্ডের নাম পরিবর্তন করতে বলে সদস্যদের। ব্যান্ড কয়েক দিনের জন্য বন্ধ করা হয় এবং পুরোনো সদস্যরা বালামের সাথে “বালাম এবং দ্য লেগ্যাসি” নামক একটি নতুন ব্যান্ড গঠন করে।
বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস বলেছেন যে: “বাচ্চু এলআরবি এর একমাত্র মালিক, শুধুমাত্র তার উত্তরাধিকারী একই নামে ব্যান্ড চালাতে পারে।” ১৫ এপ্রিল ২০১৯ সালে, বাচ্চুর ছেলে আহনাফ তাজওয়ার আইয়ুব তার ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করেছেন যে তিনি ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যদের সাথে এল আর বি নাম ব্যবহারে বাধা দেবে না এবং পরে বাচ্চুর স্ত্রী ও কন্যাও একমত হয়েছিলেন।
আরও দেখুনঃ
- আজ কেন আমায় লিরিক্স | Aaj keno Amay Lyrics | Bangla Gajol
- আমার চালাকি লিরিক্স | Amar Chalak Lyrics | Anupam Roy | Arjun | Madhumita
- ঐ দূর সীমানায় লিরিক্স | Oi dur shimanay lyrics | gojol | hujaifa islam
- তোমায় দেখলে মনে লিরিক্স | Tomay dekhle mone lyrics | Andrew kishor | Kanak chapa
- আকাশ ভরা সূর্য লিরিক্স | Akash vhora surjo tara lyrics | Srikanto Acharya