আনুশেহ আনাদিল | বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও উদ্যোক্তা
আনুশেহ আনাদিল একজন বাংলাদেশি শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও উদ্যোক্তা। তিনি লোক সঙ্গীত ব্যান্ড বাংলা এর প্রধান কণ্ঠশিল্পী।আনুশেহ আনাদিল, ভিন্ন কিংবা ব্যতিক্রমী গায়কীর জন্য পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। ব্যান্ড ও একক ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন শ্রোতাপ্রিয় অনেক গান।
শৈশব ও ক্যারিয়ার
আনুশেহ ওস্তাদ সগীরুদ্দীন খানের অধীনে উত্তর ভারতীয় ক্লাসিকাল সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তারপর তিনি লোক সঙ্গীত গাওয়া শুরু করেন। তিনি লোক সঙ্গীত ব্যান্ড “বাংলা” –র সাথে সঙ্গীত পরিবেশোনা করছেন ১৯৯৮ সালে থেকে। তিনি জোনাস হেলবর্গের সাথে কাজ করেন। তার গাওয়া গান সুশিলা রমনের “মিউজিক ফর ক্রোকোডাইল” –এ অন্তর্ভুক্ত হয়। আনুশেহ্ “ইন্ডিয়ান ওশান” ব্যান্ডের সাথে অভীক মুখোপাধ্যায়ের “ভূমি” সিনেমার জন্য একটি গান রেকর্ড করেছেন। তিনি তন্ময় বোসের সাথে “বাউল এবং বেয়ন্ড” নামে একটি গানের প্রকল্পেও কাজ করেন। তিনি কল্পনা দত্তের তত্ত্বাবধানে ক্লাসিকাল সঙ্গীত শিখা চালিয়ে যান। আনুশেহ্ মাভেরিক চলচ্চিত্র-নির্মাতা Q’s এর সিনেমা “তাসের দেশ” এর জন্য গান রেকর্ড করেন, যা অনেক প্রসংশিত হয়।
পুরস্কার
আনুশেহ আনাদিল ২০০৬ সালে দ্য মিউজিকাল জার্নালিস্টস পুরস্কার, ২০০৭ সালে অনন্যা’র শ্রেষ্ঠ ১০ নারী
সালে ২০০৯ মিতু মেমোরিয়াল পুরস্কার, ২০১১ সালে দৈনিক প্রতিদিন পুরস্কার পান জি-বাংলা সুবর্ণলতা’র প্রধান গানের জন্য। লিঙ্ক টেলিভিশন চ্যানেলেও তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড
আনুশেহ তার নিজের একটি কারুশিল্পের দোকান “যাত্রা- এ জার্নি ইন্টু ক্রাফট ইন ঢাকা” পরিচালনা করেন। তার প্রতিষ্ঠানে ১০০ জন কারু শিল্পী কাজ করে।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
ব্যক্তিগত জীবন
আনুশেহ দুই সন্তানের জননী। তিনি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন বাংলা ব্যান্ড দলের সদস্য বুনোকে। বুনোর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় সাত বছর আগে। দুই সন্তান আরাশ ও রাহাকে নিয়ে একাই ছিলেন এতোদিন। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি পুনরায় বিয়ে করেন গায়ক ও গিটার বাদক পান্ডুকে। পুরো নাম সেথ পান্ডুরাঙা ব্লুমবার্গ, আমেরিকার মিশিগানের মিউজিশিয়ান। পান্ডুর সঙ্গে ঢাকায় আনুশেহ গড়ে তোলেন ‘যাত্রা বিরতি’ নামের একটি মিউজিক্যাল রেস্তোরাঁ। আরও গড়েছেন ‘বাহক’ নামের ব্যান্ড।