আমার ও ছিল সব একদিন লিরিক্স | Hujaifa Islam Gojol
আমার ও ছিল সব একদিন লিরিক্স | Amaro Chilo Sob Ekdin lyrics | গজল | Hujaifa Islam Gojol
আমার ও ছিল সব একদিন লিরিক্স :
আমারো ছিলো সব একদিন,
আজ আমার নেই কিছু নেই।
আমারো ছিলো সব একদিন,
আজ আমার নেই কিছু নেই
সব কিছু হয়ে গেছে বিরান মরু
সব কিছু হয়ে গেছে বিরান মরু
কান্নার জল টুকো চোখে নে—ই
আজ আমার নেই কিছু নেই
আমারো ছিলো সব একদিন,
আজ আমার নেই কিছু নেই
জানি না কি দোশ ছিলো আমার বাবার
মায়েরো স্বপ্ন ছিলো বেঁচে থাকার
জানি না কি দোশ ছিলো আমার বাবার
মায়েরো স্বপ্ন ছিলো বেঁচে থাকার
ছোট দুটি বোন ছিলো ফুলের মতো
ছোট দুটি বোন ছিলো ফুলের মতো
ঘাতকের আঘাতে তারাও নেই ।
আজ আমার নেই কিছু নেই
আমারো ছিলো সব এক–দিন,
আজ আমার নেই কিছু নেই।
কত যে অনাথ শিশু আমার মত
মুখ বুঝে কাঁদে আর খুজে স্বজন
কত যে অনাথ শিশু আমার মত
মুখ বুঝে কাঁদে আর খুজে স্বজন
হায়নারা বারুদের গন্ধ ছড়ায়।
হায়নারা বারুদের গন্ধ ছড়ায়।
ধম নেয়ার মত বাতাসো নেই
আজ আমার নেই কিছু নেই।
আমারো ছিলো সব একদিন,
আজ আমার নেই কিছু নেই
তোমরা যারা আছো নানান দেশে
সাজনের মায়া ভরা পরিবেশে
তোমরা যারা আছো নানান দেশে
সাজনের মায়া ভরা পরিবেশে
আমাদের লাগি শুধু দুয়া করো
আমাদের লাগি শুধু দুয়া করো
জীবনের সাধ যেন পাই এখানে।
আজ আমার নেই কিছু নেই।
আমারো ছিলো সব একদিন,
আজ আমার নেই কিছু নেই
আমারো ছিলো সব একদিন,
আজ আমার নেই কিছু নেই।

গজল:
প্রাথমিক দিকে ইমাম গাযালী, মওলানা জালালুদ্দিন রুমী, হাফীজ সীরাজী, ফারুখউদ্দীন আত্তার, হাকীম শানাঈ প্রমুখ গজল লিখে বেশ নাম করেন। পরবর্তিতে আমির খসরু, মীর তাকী মীর, ইব্রাহীম জক, মীর্জা গালিব, দাগ দেলবী এবং আধুনিক কালে আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল, ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, ফিরাক গোরখপুরী গজল লেখক হিসাবে নাম করেন।
গজল ভালো গাইতে হলে ভালো ভাষা-জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। টপ্পা ও ঠুমরির মতো গজল প্রধানত কাফি, পিলু, ঝিঝিট, খাম্বাজ, বারোয়া, ভৈরবী রাগে গাওয়া হয়। গজল গানে একটি বিশেষ আবেদন আছে, তাই এ গান শ্রোতার মনকে রসে আপ্লুত করে তোলে। গজল খুবই জনপ্রিয় গান। সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর, মীর্জা গালিব, দাগ, জওক, আরজু প্রমুখ অনেক কবি অজস্র সুন্দর সুন্দর গজল রচনা করে গেছেন।
সম্রাট জাহাঙ্গীর, সম্রাজ্ঞী নূরজাহান, নবাব ওয়াজেদ আলী শাহর মতো ইতিহাস-প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের রচিত অনেক গজল গানের সন্ধান পাওয়া যায়। বাংলা ভাষায় বেশকিছু গজল রচিত হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা গজল রচনায় পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন।
‘গজল’ শব্দটি আরবি থেকেই চয়িত। এ শব্দের আক্ষরিক অর্থ, প্রেমিকার সঙ্গে কথোপকথন। গজলের পরিভাষায় উল্লেখ হয়েছে, ‘তারুণ্যের পরিস্থিতি বর্ণনা করুন অথবা প্রেমাস্পদের সঙ্গে সংসর্গের উল্লেখ করুন এবং ভালোবাসার চর্চা করুন কিংবা রমণীর সঙ্গে বাক্যালাপ করুন। তাই পরিভাষায় বর্ণিত বিষয়কে অবলম্বন করে গজল রচিত গানকে ‘প্রণয়-সঙ্গীত’ বলেও চিহ্নিত করা হয়।
গজল আবার ‘কাব্য-সঙ্গীত’ নামেও পরিচিত। কারণ গজল গানে শৃঙ্গার রস যেমন মিলন আর বিরহের কথা বলে তেমনি তাতে ভক্তির কথাও উচ্চারিত হয়। দু’ধরনের ভাবের অভিব্যক্তি শৃঙ্গার রসে পরিপূর্ণতা আনে। অন্যদিকে গজল গান রচনায় যে বাণী প্রয়োগ করা হয় তাতে সব ধরনের রসের সমাবেশ দেখা যায়। ফলে গজল গান কাব্যের গুণে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তাই গজল শৃঙ্গার রসাÍক গান হলেও এক ধরনের ‘কাব্য-সঙ্গীত’।
আরও দেখুন :